এক সময় বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ, তাড়াশ-সলঙ্গা) আসনটি আবার ফিরে পেতে এবং ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান তালুকদারের কোন বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে গণ সংযোগও চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এ আসনে বিএনপি থেকে আব্দুল মান্নান তালুকদারের মনোনয়ন পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ায় অন্যান্য দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছেন। রায়গঞ্জ, তাড়াশ-সলঙ্গার মাটি ও মানুষের নেতা আব্দুল মান্নান তালুকদার।
বিএনপি থেকে চার বার নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেও জেলার একমাত্র এ আসনটিতে তখনও আব্দুল মান্নান তালুকদার জনগনের ভোটে বিএনপির এমপি নির্বাচিত হন। বিগত নির্বাচনে আওয়ামীলীগ হারানো আসনটি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
বিএনপি থেকে কতিপয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ও ২-১ জন অতিথি পাখী নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে লিফলেট, পোষ্টার, ফেস্টুন আর গণ সংযোগ করে বেড়ালেও বিএনপিপন্থী ভোটারদের একটাই কথা এ আসনটিতে ধানের শীষের বিজয় উপহার দিতে সৎ, ত্যাগী, জন দরদী ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী আব্দুল মান্নান তালুকদারই একমাত্র ভরসা। কালিঞ্জা ব্রীজ, বকুল তলা ব্রীজ, ভুইয়াগাঁতী ব্রীজ, ব্রক্ষ্মগাছা ব্রীজ, পাঙ্গাসী ব্রীজ সহ নির্বাচনী এলাকার অসংখ্য অবহেলিত রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ মন্দির, কবরস্থান সহ বিভিন্ন উন্নয়ন করেছেন।
দলের তৃণমুল নেতা কর্মীরা তাকেই মনে প্রাণে বিএনপির এমপি হিসেবে দেখতে চান। দলমত নির্বিশেষে নারী, পুরুষ, যুবক, তরুণ এমনকি সকল ভোটারের সাথে তার রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান তালুকদার এক সাক্ষাৎকারে জানান, আমাকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলে এবং সিইসি দেশে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ধানের শীষের বিজয়ের জন্য কাজ করে যাব। রায়গঞ্জ,তাড়াশ-সলঙ্গাবাসীর সম্মানীত ভোটার ভাই-বোনেরা সুষ্ঠ ভাবে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারলে তাদের মুল্যবান ভোটে অবশ্যই বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত এ আসনটি আবারও পুনরুদ্ধার সম্ভব বলে তিনি আশা করেন।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ