বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

কোরবানির জন্য এক কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশুর জোগান রয়েছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

কোরবানির জন্য এক কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশুর জোগান রয়েছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

সংগৃহীত

আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে এক কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশু জোগান নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। রোববার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, গত বছর কোরবানির ঈদে আমাদের এক কোটি ২৫ লাখ গবাদি পশুর আমদানি ছিল।

এরমধ্যে অবিক্রীত ছিল ১৯ লাখ। এবার কোরবানির সময় এক কোটি ৩০ লাখের বেশি গবাদিপশুর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, উৎসবের দিন সামনে আসছে। এসময়ে সুবিধাবাদী গোষ্ঠী ও মতলববাজরা পুরো ব্যাপারটা ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আগামী কোরবানি ঈদের সম্পূর্ণ প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। গবাদিপশুর কোন ধরনের ঘাটতি নেই। মধ্যস্বত্বভোগীদের যে বাড়াবাড়ি থাকে সে বিষয়ে আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে আগে থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি।

গবাদিপশুর বাজার যেন স্থিতিশীল থাকে, দাম যেন মানুষ ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে বিষয়গুলো নিয়ে প্রস্তুতিমূলকভাবে খামারি ভাইদের সঙ্গে কথা বলেছি। 

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের (খামারি) আশ্বস্ত করেছি গবাদিপশু আমদানি করার কোনো কারণ নেই। গরু আমদানির কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের নেই। আমাদের দেশে খামারি ভাইয়েরা গবাদিপশু উৎপাদিত করেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগেও হয়, সেটিই যথেষ্ট। কোনো অপ্রতুলতা নেই। আমাদের আয়োজন ও ব্যবস্থাপনা সবই ঠিক আছে। বাজার যেন অস্থিতিশীল না হয়, সেই বিষয়ে আমাদের আয়োজন ও প্রস্তুতি আছে বলে জানান তিনি। কোরবানির পশুর গাড়িতে চাঁদাবাজি বন্ধে কী পদক্ষেপ- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ওই সময় মধ্যস্বস্তভোগী ও বিশেষ শ্রেণির মানুষ সুযোগ নেয়। যে কারণে অনেক সময় পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। কোরবানির আগে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে ঠিক করবো, যেন এ জায়গাটি সঠিকভাবে অ্যাড্রেস করা যায়, যেন পথে পথে ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজি ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি। এদিকে ফরিদপুরের মধুখালীতে দুই শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অপরাধীদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, শিগগির একটা ফলাফল আমরা পাবো।

মধুখালীতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অপরাধীদের ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছেন স্থানীয় জেলা প্রশাসক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কেন ধরতে পারছে না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় এরই মধ্যে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩১ জন আসামির বিরুদ্ধে তিনটি ফৌজদারি মামলা হয়েছে। কাজেই এ ক্ষেত্রে আমি বলবো, আবেগে গা না ভাসিয়ে আমাদের বুঝতে হবে তাদের সামর্থ্য, সীমাবদ্ধতা। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তারা পলাতক, তাদের খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, এর আগে যাদের ধরা হয়েছে, তাদের জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছে। সব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রতিদিন অভিযান চলছে। আশা করছি শিগগির একটা ফলাফল আমরা পাবো।

সূত্র: মানবজমিন

সর্বশেষ: