শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

নেটিং পদ্ধতিতে দেশি মুরগি পালনে স্বাবলম্বী ৭০ নারী!

নেটিং পদ্ধতিতে দেশি মুরগি পালনে স্বাবলম্বী ৭০ নারী!

জয়পুরহাটে দেশি মুরগি পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন ৭০ নারী। আগে বাড়ির আশেপাশে খোলামেলা জায়গায় মুরগি পালন করায় শিয়াল, কুকুর, বেজিসহ বিভিন্ন জীবজন্তু আক্রমন করে মুরগি খেয়ে ফেলতো। ফলে তাদের লোকসান গুনতে হতো। বর্তমানে তারা আধা নিবিড় বা নেটিং পদ্ধতিতে রাসায়নিক মুক্ত দেশি মুরগী পালন করছেন।

জানা যায়, জয়পুরহাটের সদর ও আক্কেলপুর উপজেলায় নেটিং পদ্ধতিতে দেশি মুরগি পালন করেন ৭০ নারী। আগে বাড়ির আঙিনায় খোলামেলা জায়গায় পালন করায় বিভিন্ন জীবজস্তু আক্রমন করতো। জীবজন্তুর হাত থেকে বাঁচাতে এই নেটিং পদ্ধতির ব্যবহার করছেন তারা। নারীরা স্থানীয় একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় আধা নিবিড় বা নেটিং পদ্ধতিতে দেশি মুরগী পালন শুরু করেন। বর্তমানে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে আয় করতে পারছেন।

আবেদপুর গ্রামের কনিকা রাণী বলেন,আগে শুধু নিজেরা খাওয়ার জন্য মুরগি পালন করতাম। কখনো বিক্রি করতে পারিনি। একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নেটে মুরগি পালন করে নিজেরাও খেতে পারছি পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে আয় করতে পারছি। মুরগি পালনের পর আমার সংসারের অভাব অনেকটা কেটে গেছে।

আক্কেলপুর উপজেলার কাঁকড়া গ্রামের হাসনাহেনা বলেন, আমরা আগে মুরগিকে খোলামেলা জায়গায় ছেড়ে দিয়ে বাড়ির আশেপাশেই পালন করতাম। তখন মুরগিগুলোকে শিয়াল, বেজি, কাকসহ বিভিন্ন জীবজন্তুরা খেয়ে ফেলত। বর্তমানে নেট পদ্ধতিতে মুরগি পালন করছি। এখন আমরাও খেতে পারছি আর বাজারে বিক্রি করে ভালো টাকা আয় করতে পারছি। মুরগি পালন করে স্বাবলম্বী হতে পেরেছি। শুরু আমি একা নই, আমার মোট ৭০ জন নারী এই প্রশিক্ষণ নিয়ে মুরগি পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছে।

স্থানীয়রা বলেন, এখন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই নারীরা এই নেট পদ্ধতিতে মুরগি পালন করছেন। আগে বিভিন্ন জন্তুর কারণে মুরগি টিকিয়ে রাখা কঠিন ছিল। বর্তমানে এই পদ্ধতিতে মুরগি পালন করে তারা লাভবান হচ্ছেন।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ: