বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বিশেষ আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএলের পর্দা নামছে আজ। সন্ধ্যায় মাঠে নামবে দুই ফাইনালিস্ট খুলনা টাইগার্স ও রাজশাহী রয়্যালস। ম্যাচ শেষে ট্রফি উঠবে এক দলের হাতে। অন্য দলকে ফিরতে হবে খালি হাতেই। রানার্স আপের জন্য নেই কোনো পুরস্কার।
কার হাতে উঠবে ইংল্যান্ডের বিখ্যাত কোম্পানি ইংকারম্যানের বানানো চমৎকার ট্রফিটি! মুশফিকুর রহিম নাকি আন্দ্রে রাসেল? কে হাসবেন শেষ হাসি। যার হাতেই উঠুক শিরোপা, নতুন চ্যাম্পিয়নের দেখা পাবে ক্রিকেট বিশ্ব।
বিপিএলর গত ছয় আসরের শিরোপা ভাগাভাগি হয়েছে তিন দলের মধ্যে। ঢাকা জিতেছে তিনবার। কুমিল্লা দুইবার ও একবার গেছে রংপুরের ঘরে।এবার সাবেক তিন চ্যাম্পিয়নদের কেউই নেই ফাইনালে।
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে কাউকেই অবশ্য স্পষ্ট ফেভারিট বলার সুযোগ নেই। সত্যিকার অর্থে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তেমন করে কাউকেই এগিয়ে রাখাও যায় না। তবে দল দুটির সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স যদি বিবেচনায় আনা হয়, সেখানে সামান্য এগিয়ে রাখতে হবে খুলনাকেই।
পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে লিগ পর্ব শেষ করে মুশফিকবাহিনী। যেটা নিঃসন্দেহে তাদের আত্মবিশ্বাস যোগাবে। প্রথম কোয়ালিফায়ারে এই রাজশাহীকেই সহজেই হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে।
আরো এক জায়গায় রাজশাহীর চেয়ে এগিয়ে আছে খুলনা। দু’দলের হেড টু হেড লড়াইয়ে খুলনা ম্যাচ জিতেছে দুটি। মুখোমুখি তিনবার লড়াইয়ের অন্যটিতে জয় পেয়েছে রাজশাহী।
অন্যদিকে, রাজশাহীকে একাই এগিয়ে নিচ্ছেন দলের অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে তার হাত ধরেই দল পেয়েছে ২ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস এক জয়।
তবে সব কথার শেষ কথা, গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা হচ্ছে ক্রিকেট। এখানে আগে থেকেই কিছুই বলা যায় না। বিপিএলের বিশেষ এই আসরের ট্রফি কে উঁচিয়ে ধরবে সেটা বলে দেবে সন্ধ্যায় মিরপুর স্টেডিয়ামে মাঠের লড়াই। সেক্ষেত্রে টস হতে পারে বড় একটি ফ্যাক্টর। যে দলই টস জিতুক, নিঃসন্দেহে প্রতিপক্ষকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে নিজেদের বোলারদের রক্ষা করতে চাইবে শিশির থেকে।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ