প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে উৎপাদিত দুধ বিক্রি করতে না পেরে চরম বিপাকে পড়েছিলেন সিরাজগঞ্জ ও পাবনা দুগ্ধখামারিরা। তাদের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষায় এগিয়ে এসেছে র্যাব-১২।
এই দুই জেলায় প্রতিদিন খামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করে উৎপাদন করা হচ্ছে বিভিন্ন দুগ্ধজাত সামগ্রী। এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে র্যাব সদস্যদের মাঝে। ন্যায্যদামে দুধ বিক্রি করতে পেরে খুশি খামারিরাও
করোনার কারণে দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠানগুলো দুধ সংগ্রহ সীমিত করায় উৎপাদিত দুধ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছিল সিরাজগঞ্জ ও পাবনার দুগ্ধখামারিরা।
খামারিদের লোকসানের হাত থেকে রক্ষায় অস্থায়ীভাবে ঘি, মাখন আর পনির তৈরির কারখানা স্থাপন করেছে রেপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-১২। প্রতিদিন খামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করে তৈরি করা হচ্ছে এসব দুগ্ধজাত পণ্য।
খামারিদের একজন বলেন, আমার খামারের দুধ এখানে দিচ্ছি ৩‘শ থেকে সাড়ে ৩‘শ লিটার। এখন আমি ন্যায্যমূল্য পাচ্ছি। এমনভাবে সহযোগিতা করলে আমাদের খামারে লস যাবে না।
র্যাব-১২’র অধিনায়ক জানান, করোনা সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের লোকসানের হাত থেকে রক্ষার পাশাপাশি র্যাব সদস্যদের দুগ্ধজাত পণ্যের চাহিদা পূরণেই এই কার্যক্রম নেয়া হয়েছে।
র্যাব-১২ এর পিএসসি অধিনায়ক লে. কর্ণেল খায়রুল ইসলাম জানান, এই দুধ কেনাতে তিনটা গ্রুপ বেসিকেলি উপকৃত হচ্ছে। প্রথমত যারা আমাদের কাছে বিক্রি করছে, দ্বিতীয়ত দুধ দিয়ে ঘি এবং পনির বানাচ্ছি এটা ব্যারেব সদস্যরা স্বল্পমূল্যে কিনতে পারছে। তৃতীয়ত ঘি এবং পনির তৈরির জন্য কারিগর নিয়ে এসেছি এই সবগুলো লোকের গত একমাস যাবৎ এখানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও পাবনার খামারিদের কাছ থেকে র্যাব এ পর্যন্ত এক লাখ লিটারের বেশি দুধ ক্রয় করেছে বলে জানান তিনি।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ