শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীনতা পুরুষ্কার-২০২১ পেলেন সিরাজগঞ্জের সন্তান কবি মহাদেব সাহা

স্বাধীনতা পুরুষ্কার-২০২১ পেলেন সিরাজগঞ্জের সন্তান কবি মহাদেব সাহা

স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২১ অর্জনকারীদের নাম প্রকাশ করেছে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ। গতকাল ৭ই মার্চ মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ১টি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২১ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এদের মধ্যে সিরাজগঞ্জের সন্তান কবি মহাদেব সাহা সাহিত্যে অবদান রাখায় স্বাধীনতা পুরষ্কার-২০২১ লাভ করেন।

এছাড়া এবছর আরো যারা মনোনীত হয়েছেন- মরহুম এ কে এম বজলুর রহমান (স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ), শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার (স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ), মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশিদ উদ্দিন আহমেদ (স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ), মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু (স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ), ড. মৃন্ময় গুহ নিয়োগী (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি),  মহাদেব সাহা (সাহিত্য), আতাউর রহমান (সংস্কৃতি), গাজী মাজহারুল আনোয়ার (সংস্কৃতি), অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন (সমাজসেবা/জনসেবা), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (গবেষণা ও প্রশিক্ষণ)।

কবি মহাদেব সাহার জীবনীঃ
মহাদেব সাহা বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তীকালের একজন অন্যতম প্রধান কবি। তিনি তাঁর সাহিত্যিক অবদান দিয়ে সব ধরনের পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর অসীম অনুরাগ ছিলো। মহাদেব সাহা ১৯৪৪ সালের ৫ আগস্টে বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলার ধানগড়া গ্রামে পৈতৃক বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম বগদাধর সাহা এবং মাতা বিরাজমোহিনী। সাহিত্যনুরাগী পিতা গদাধর সাহার বাড়িতে আসত মাসিক বসুমতী সংবাদ, দৈনিক লোকসেবক, বাই উইকলি অমৃতবাজার পত্রিকা। কলকাতা থেকে আনা হতো পিএম. বাগচী ও গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা।

মহাদেব সাহা বগুড়ার ধুনট হাইস্কুল থেকে ১৯৬০ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। উচ্চমাধ্যমিকে তিনি ঢাকা কলেজে ভর্তি হয়েও অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পরে তিনি বগুড়ার আজিজুল হক কলেজ থেকে ১৯৬৪ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। তিনি আজিজুল হক কলেজে বাংলা সাহিত্য বিষয়ে অনার্স শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং ১৯৬৭ সালে অনার্স পাস করে রাজশাহীতে আসেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাংলা বিষয়ে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এমএ পাসের পর তিনি কিছুদিন ইংরেজি বিষয়ে গবেষণায় নিযুক্ত হন কিন্তু কবিতা লেখার অদম্য আগ্রহ তাকে গবেষণা শেষ করার আগেই ঢাকায় নিয়ে যায়। তিনি জ্যোতিপ্রকাশ দত্তের সহায়তায় ১৯৬৯ সালে তৎকালীন সাপ্তাহিক পূর্বদেশ পত্রিকায় যোগদান করেন।

মহাদেব সাহা তার কাব্য প্রতিভার জন্য অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেছেন। তিনি ১৯৮৩ সালে কবিতায় বাংলা একাডেমী পুরস্কার এবং ২০০১ সালে একুশে পদক লাভ করেন। এছাড়াও অন্যান্য পুরস্কার ও সম্মননার মধ্যে ১৯৯৫ সালে আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৯৭ সালে বগুড়া লেখকচক্র পুরস্কার, ২০০২ সালে খালেকদাদ চৌধূরী স্মৃতি পুরস্কার এবং ২০০৮ সালে জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার অন্যতম। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৯৩ টি।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর