শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন সম্পন্ন

সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন সম্পন্ন

যমুনা নদীর ওপর বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন হতে ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত থেকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন -প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সেতুর টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ দুই প্রান্তে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভিডিও কনফারেন্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন-যমুনা নদীর উপর রেল সেতু নির্মাণ অপরিহার্য্য। অভ্যন্তরীন যোগাযোগ ছাড়াও ট্রান্স এশিয়ান হাইওয়ের সাথে সম্পৃক্ত হতে এই রেল সেতু অপরিহার্য্য। এই সেতু নির্মিত হলে রেলওয়ের যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে এবং দেশের সামগ্রকি অর্থনৈতিক চাকা সচল হবে। জাপান বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। বাংলদেশ সবসময়ই জাপানের সহযোগিতা পেয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে আয়োজিত ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। বক্তব্য রাখেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, জাপানের রাষ্ট্রদুত মাসাতো ওয়াতানাবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের এমপি ডা. আব্দুল আজিজ, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের এমপি তানভীর ইমাম, সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের এমপি আব্দুল মমিন মন্ডল, পাবনা-১ আসনের এমপি শামসুল হক টুকু ও রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার অপু, সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ, পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম, সামরিক কর্মকর্তাসহ রেল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে নির্মিত হচ্ছে ডাবল লেনের ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘের রেল সেতু। জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই রেল সেতুটি নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে জাইকা। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে কাজ সমাপ্ত হবে। এই সেতু দিয়ে ১০০ কিলোমিটার বেগে একইসঙ্গে দুটি ট্রেন চলাচল করতে পারবে। পাশাপাশি সব ধরনের মালবাহী ট্রেন চলাচল করতে পারবে। ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর মধ্য দিয়ে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ চালু হয়। প্রথমে ব্রডগেজ ও মিটারগেজের চারটি ট্রেন দৈনিক আটবার পারাপারের পরিকল্পনা থাকলেও যাত্রী চাহিদা বাড়তে থাকায় সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হয়।

২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ফাটল দেখা দেওয়ায় কমিয়ে দেওয়া হয় সেতুর ওপরে চলাচলকারী ট্রেনের গতিসীমা। বর্তমানে ৩৮টি ট্রেন নিয়মিত স্বল্প গতিতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হলেও সময় অপচয়ের পাশাপাশি ঘটছে শিডিউল বিপর্যয়, বাড়ছে যাত্রী ভোগান্তি। ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা নির্বিঘ্ন করতে বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের বড় ডেডিকেডেট রেল সেতু।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর