প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে পাকিস্তানের পর আয়ারল্যান্ড সফর স্থগিত হয়েছে বাংলাদেশের। স্থগিত হয়েছে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজও। যার ফলে মাঠে নেই ক্রিকেট। তাই করোনার ঝুঁকি এড়াকে ঘরেই থাকছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। এমন সময় দুই সতীর্থ রুবেল হোসেন ও তাসকিন আহমেদের সাথে ফেসবুক লাইভে আসেন তামিম ইকবাল। সেখানে তিনজনের খেলোয়াড়ি জীবন আর মাঠের বাইরের নানা গল্প কাহিনী উঠে আসে।
তবে লাইভের ৫১ মিনিটে তামিম ইকবালের ক্যারিয়ারের ‘টার্নিং পয়েন্ট’ জানতে চান রুবেল। জবাবে তামিম বলেন, ‘আমার জীবনের যা হওয়ার সেটা প্রথম ম্যাচের দিকেই হয়েছিল। সেটা ছিলো ভারতের সাথে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপটা। তারপর থেকে আমি নামে মাত্র দলে ছিলাম। একটু গ্যাপ ছিল। খুব একটা ভালো খেলিনি। কিন্তু আমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট শুরু হয় কোচ জেমি সিডন্সের সময়ে। যখন আমি ওনার সাথে কাজ করা শুরু করলাম তখন আমি আমার ব্যাটিংয়ে লিমিটেশন বাড়াতে পারলাম। আমি আমার দুর্বল জায়গাগুলোতে কাজ করলাম। সেটাই ছিলো মূলত আমার টার্নিং পয়েন্ট শুরু।’
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচের দায়িত্বে আসেন জেমি সিডন্স। ২০১১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এই চার বছর দায়িত্ব পালনকালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০৯ সালে মোট ১৯টি ওয়ানড খেলে ১৪টিতেই দলকে জেতান সিডন্স। এছাড়া তার অধীনেই ২০১০ সালে ব্রিস্টলে ও ২০১১ এর বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডকে দুবার হারানোর যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ।
তাছাড়া বিদেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ও তার আমলেই আসে। তারপরও তাঁর সঙ্গে চুক্তি বাড়াতে রাজি হয়নি বিসিবি।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ