মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

শিশু কান্না করে কেন? জেনে নিন ৯ কারণ

শিশু কান্না করে কেন? জেনে নিন ৯ কারণ

শিশুদের আমরা সবাই পছন্দ করি। কিন্তু যখনই তারা কান্না শুরু করে, তখন আমরা ঠিক বুঝে উঠতে পারি না, আমাদের কী করা উচিত। শিশুদের ক্ষেত্রে খাওয়া-দাওয়ার মতোই কান্না করা একটি স্বাভাবিক বিষয়। যেহেতু তারা কথা বলতে এবং প্রকাশ করতে পারে না, তাদের পক্ষে কোনোরকমের অস্বস্তি বা সমস্যা প্রকাশের একমাত্র উপায় হলো কান্না।

আপনি যদি সদ্য মা কিংবা বাবা হন এবং আপনার শিশু কেন কাঁদছে তা বুঝতে না পারলে, জেনে নিন শিশুর কান্নার কারণ। কান্নার সঙ্গেসঙ্গে শিশুর জ্বর, বমিভাব, ডায়েরিয়ায় বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। এমনটাই প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া-

শিশুটি ক্ষুধার্ত
আপনার নবজাতকের কান্নার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো ক্ষুধা। শিশুর পেটে অল্প জায়গা থাকে, যেখানে সে বেশি খাবার রাখতে পারে না। সুতরাং, যদি আপনার শিশু কান্নাকাটি করে, তবে আপনি প্রথমে তাকে দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করতে পারেন। কখনো কখনো, শিশুরা খাবার খাওয়ার পরপরই আবার ক্ষুধার্ত বোধ করতে পারে।

ক্লান্ত হয়ে পড়েছে
শিশুরা অতিরিক্ত অবসন্ন হলে ঘুমাতে খুব কষ্ট হতে পারে। আপনার শিশু না ঘুমিয়ে কেঁদে চলেছে, তার মানে হতে পারে সে খুবই ক্লান্ত বোধ করছে।

সে শুধু কান্নাই করতে পারে
শিশুর বয়স যদি পাঁচ মাসের তার কম হয় তবে সে অকারণে অকারণে প্রতিদিন একই সময়ে কাঁদতে শুরু করতে পারে। এটি সাধারণ তবে আপনার পক্ষে মানসিক চাপ হতে পারে। শিশুকে জড়িয়ে ধরে বা হাঁটতে হাঁটতে আপনার শিশুকে প্রশান্ত করতে পারেন।

ন্যাপি পরিবর্তনের সময় হয়েছে
যদি শিশুর ন্যাপি/ডায়াপার ভেজা থাকে তবে শিশু কেঁদে উঠতে পারে বা জোরে চিৎকার করতে পারে। তার ত্বক জ্বালা হতে পারে এবং শিশু কান্নার মাধ্যমে এটি জানাতে চায়। শিশুর ত্বকে ফুসকুড়ি হলে র্যাশ ক্রিম ব্যবহার করুন এবং তাকে প্রয়োজন ছাড়া ডায়াপার পরিয়ে রাখা থেকে বিরত থাকুন।

ঢেকুর তোলা দরকার
আপনার শিশু যদি খাওয়ার ঠিক পরে কাঁদতে শুরু করে তবে তার পেটে গ্যাস থাকতে পারে। শিশুর পেটের গ্যাস বাতাস, যা সে খাওয়ার সময় বা কাঁদতে গিয়ে গিলে ফেলেছিলো। এক্ষেত্রে সন্তানের পিঠ চাপড়ানো গ্যাস বের করার একটি ভালো উপায়।

খুব গরম/ঠান্ডা লাগছে
শিশুর কান্নার কারণ হতে পারে আবহাওয়া। অতিরিক্ত ঠান্ডা বা অতিরিক্ত গরমে শিশু কান্না করতে পারে। তাপমাত্রা অনুযায়ী শিশুকে পোশাক পরিয়ে রাখার চেষ্টা করুন।

সুস্থ বোধ করছে না
শিশু যদি অসুস্থ বোধ করে তবে সে স্বাভাবিকের চেয়ে আলাদা সুরে কাঁদে। কান্নার ধরন ক্রমাগত দুর্বল হবে। আপনার সন্তানকে আপনার মতো করে কেউ জানে না। সুতরাং, যদি আপনি মনে করেন কান্নার ধরনে কোনো পরিবর্তন এসেছে, তবে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।

চারপাশে ভীড় হলে
চারপাশে অনেক মানষজন কিংবা কোলাহল থাকলে শিশু অতিরিক্ত উত্তেজিত হয়ে উঠতে পারে। আপনার সন্তানকে শান্ত পরিবেশে রাখুন এবং তাকে ঘুমাতে সহায়তা করুন।

শিশুর চাদর দরকার
কখনো কখনো শিশুর নিরাপদ বোধ করার জন্য প্রচুর আবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। পরেরবার শিশু তারস্বরে কাঁদলে তাকে গান গেয়ে থামানোর পাশাপাশি চাদরে তাকে জড়িয়ে রাখতে পারেন।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ