সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভূমিহীন – গৃহহীন ১৩০ টি পরিবারকে জমি ও পাকা ঘর উপহায় দেয়ার তাদের মুখে হাসি ফুটেছে।
আর এই কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন। জানা যায়, রায়গঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে সোনাখাড়া, ধুবিল , ধানগড়া ঘুড়কা, নলকা ও ব্রহ্মগাছা সহ মোট ৬টি ইউনিয়নে প্রথম পর্যায় এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে মোট ১৩০ টি পরিবারকে জমি ও পাকা ঘর নির্মান করে দেয়া হয়েছে। এতে প্রতিটি ঘরে সরকারী বরাদ্দ ২ লক্ষ টাকা ব্যায় করা হয়েছে।
উপজেলার নলকা ইউনিয়নের সুজাপুর গ্রামের গৃহহীন আব্দুল মালেকের স্ত্রী অবিরন খাতুন বলেন মুজিব বর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জমি ও পাকা ঘর বিনা খরচে উপহার পেয়ে আমি খুশি হয়েছি।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: গোলাম রব্বানী জানান, প্রতিনিয়ত মাঠ পর্যায়ে গিয়ে সরেজমিন কাজ দক্ষ মিস্ত্রি দিয়ে বুঝে নিচ্ছি। এদিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সুবীর কুমার দাস বলেন প্রতিটি ইউনিয়নে মাইকিং করে দিন সময় ঠিক করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা ও গন্যমান্যদের সাথে নিয়ে গণশুনানীর মধ্যে দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুজিব বর্ষে উপহারের জমি ও পাকাঘর তালিকা ভুক্ত করা কালে অতান্ত সর্তকতার সহিত যাচাই বাছাই করে প্রকৃত ভুমিহীন ও গৃহহীনদের নামের প্রস্তাব করা হয়। পাকা ঘর তৈরি কাজে আমি নিজে গিয়ে তদারকি করছি।
অপরদিকে বুধবার দুপুরে উপজেলার নলকা ইউনিয়নের তিননানন্দিনা গ্রামে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া মুজিব বর্ষে উপহারের নির্মানকৃত পাকা ঘর পরিদর্শন কালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রাজিবুল আলম জানান, প্রথমে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুজিব বর্ষে উপহারের জমি ও পাকাঘরের তালিকা ভুক্ত করা এবং এমপি মহাদয়ের পরামর্শে ক্রমে এবং ডিসি স্যারের নিদের্শক্রমে সঠিক ভাবে ভুমিহীনদের যাচাই বাছাই করে প্রকৃত ভুমিহীন ও গৃহহীনদের নামে জমি রেজিষ্ট্রারী ও পাকা ঘর তৈরি করে দেয়া হচ্ছে।
আর পাকা ঘর নির্মাান কাজে পরিদর্শন সাপেক্ষে সংশ্লিষ্টদের বিল প্রদান করা হয়। আর কাজ আমি নিজে গিয়ে এ কাজ তদারকি করি। যে কারনে এখন পর্যন্ত ১৩০ টি পাকা ঘরের কাজের গুনগত মান ভালো হচ্ছে বলে আশা রাখি তবে পর্যায়ক্রমে এই উপজেলায় আরো ভুমিহীন এবং গৃহহীনদের জমি ও পাকা ঘর দেয়া হবে।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ