শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতের ৪ কিলোমিটার ভেতরে চীনের গ্রাম

ভারতের ৪ কিলোমিটার ভেতরে চীনের গ্রাম

ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য অরুণাচলের বড় একটি জায়গা চীন শুধু দখলেই নেয়নি, গড়ে তুলেছে বসতিও। এজন্য নির্মাণ করা হয়েছে ১০১টি ঘরের একটি গ্রাম। সাম্প্রতিক সময়ের স্যাটেলাইট ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এ বিষয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

১ নভেম্বর ২০২০ তারিখের স্যাটেলাইট ইমেজগুলো বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা বলছে, চীনের এসব স্থাপনা সীমান্ত থেকে প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার ভেতরে। এসব ভারতের জন্য বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ হতে পারে।

চীনের নির্মিত গ্রামটি অরুণাচলের আপার সুবানসিরি জেলার তসারি চু নদীর তীরে। এলাকাটি নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে দীর্ঘ দিনের দ্বন্দ্ব; দুই দেশের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাতও হয়েছে। গ্রামটি গড়ে তোলা হয়েছে হিমালয়ের পূর্বাঞ্চল জুড়ে, যা ভারত-চীনের সহিংসতাপূর্ণ লাদাখ এলাকার পশ্চিম হিমালয় এলাকা থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে।

লাদাখের গালওয়ান উপত্যকার সীমান্ত এলাকায় গত বছর সংঘাতে জড়ায় ভারত-চীনের সেনারা। গত ১৫ জুন তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এতে নিজেদের ২০ সেনা নিহত হওয়ার কথা জানায় ভারত। তবে এই ঘটনায় চীন কোনো হতাহতের খবর জানায়নি।

এই উত্তেজনা থামেনি এখনো। চলতি শীতেও উভয় দেশ লাদাখে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেছে। শূন্য তাপমাত্রাতেও উত্তপ্ত অবস্থানে আছে দেশ দুটির সেনারা।

লাদাখে সহিংসতার পর ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসসহ অনেকেই অভিযোগ তোলে চীনা সেনারা সীমান্তে ভারতের অনেক জায়গা দখল করে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বিষয়টি তেমন আমলে নিচ্ছে না। তবে এসব অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। বরং তাদের দাবি, নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষায় লাদাখে বীরের মতো লড়েছে ভারতীয় বাহিনী।

অরুণাচলেও উত্তেজনা ছড়াচ্ছে চীনা বাহিনী। গত ১ নভেম্বর স্যাটেলাইট মারফত পাওয়া ইমেজে দেখা গেছে, ভারতের ভেতরে এসে আস্ত একটা গ্রাম গড়ে তুলেছে তারা। যে স্থানটিতে গ্রামটি গড়ে তোলা হয়েছে, এক বছরের বেশি সময় আগের ছবিতে দেখা যায়, সেখানে এই ধরনের কোনো স্থাপনার অস্তিত্বই ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, গ্রামটি নির্মাণ করা হয়েছে এক বছরের মধ্যে।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির পাওয়া ছবিগুলো নজরে আনা হয় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। ছবিগুলো নিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জ জানায়নি তারা। বরং মন্ত্রণালয় বলেছে, ভারতের সীমান্ত এলাকা জুড়ে চীনের নির্মাণ কাজের সাম্প্রতিক খবরগুলো তারা দেখেছে। চীন গত কয়েক বছর ধরে এই ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ চালিয়ে যাচ্ছে।

ভারত সরকার বলছে, তারাও সীমান্তের অবকাঠামোগুলো আরও উন্নত করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রাস্তা, সেতুসহ যেসব অবকাঠামো স্থানীয় জনগণের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করেছে সেগুলো হালনাগাদ করা হবে।

গত বছরের অক্টোবরে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছিলেন, দীর্ঘ সময় ধরে ভারতীয় পক্ষ সীমান্তে অবকাঠামো নির্মাণ করছে; সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। আর এটাই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির মূল কারণ। তবে, স্যাটেলাইটের ইমেজে চীনের নির্মাণ করা নতুন গ্রামটির আশপাশে ভারতের কোনো সড়ক বা অবকাঠামোর চিহ্ন দেখা যায়নি। চীনের এই কার্যক্রম ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায় কিনা তাতে গভীর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লি।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায় এমন যেকোনো কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে তারা।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর