মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

টি-টোয়েন্টিতেও জয়ের ধারা অব্যাহত টাইগারদের

টি-টোয়েন্টিতেও জয়ের ধারা অব্যাহত টাইগারদের

সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজের পর টি-টোয়েন্টিতেও জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। মিরপুরে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪৮ রানের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। বাংলাদেশের দেয়া ২০১ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৮.৫ ওভারে ১৫২ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। 

পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মোস্তাফিজুর রহমানের প্রথম ওভারের প্রথম দুই বলে দুই চার হাঁকিয়ে দারুণ শুরু করেন ওপেনার তিনাশে কামুনহুকামুয়ে। তবে সেই ধারা ধরে রাখতে পারেনি সফরকারীরা। 

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই শফিউলের শিকারে পরিণত হন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলর। দলীয় ১১ রানের মাথায় ৫ বলে ১ রান করে ফিরে যান টেইলর। নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি ক্রেইগ আরভিনও। ৯ বলে ৮ রান করে মোস্তাফিজের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। 

দলীয় ৩৭ রানের মাথায় দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার হয়ে ফিরে যান মাধভেরে। ৫ বলে ৪ রান করেন তিনি। 

ওপেনার কামুনহুকামুয়ের সঙ্গে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা চালান অধিনায়ক শন উইলিয়ামস। দলীয় ৬৯ রানের মাথায় কামুনহুকামুয়েকে (২০ বলে ২৮) তুলে নিয়ে জিম্বাবুয়েকে খাদের কিনারে ঠেলে দেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। পরের বলেই তুলে নেন অধিনায়ক উইলিয়ামসকেও। ১২ বলে ২০ রান করেন সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়েন উইলিয়ামস। 

৬৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে সফরকারীদের ব্যাটিং লাইনআপ। সেখান থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা জিম্বাবুয়ে শেষ পর্যন্ত ১৫২ রান তুলতে পারে। শেষের দিকে ছোট ছোট চেষ্টা করেছিলেন তিরিপানো (২০) ও কার্ল মুম্বা (২৫)। 

মোস্তাফিজুর রহমান ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ৩টি করে উইকেট নেন। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন শফিউল ইসলাম, মোহাম্ম সাইফউদ্দিন ও আফিফ হোসেন। 

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। ঠিক যেন তৃতীয় ওয়ানডেতে যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই শুরু করেন তারা। ১০.২ ওভারের ওপেনিং জুটিতে ৯২ রান তোলেন তারা। 

তুলনামূলকভাবে ধীরগতিতে খেলতে থাকা তামিম ইকবাল ৩৩ বলে ৪১ রান করে মাধভেরের বলে উইলিয়ামসের হাতে ধরা পড়েন। তার ইনিংসে ছিলো ৩টি চার ও ২টি ছয়। 

তামিমের বিদায়ে লিটনের সঙ্গে যোগ দেন সদ্যই বিয়ের আসর থেকে আসা সৌম্য সরকার। ৩১ বলে অর্ধশতক তুলে নেন লিটন দাস। এর কিছুক্ষণ পর দলীয় ১০৬ রানের মাথায় সিকান্দার রাজা ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে ফিরে যান লিটন। ৫টি চার ও ৩টি ছয়ের মারে ৩৯ বলে ৫৯ রান করেন লিটন। 

মুশফিকুর রহিম ঝড়ো ইনিংসের ইঙ্গিত দিয়েও দ্রুতই ফিরে যান। দলীয় ১৪৬ রানের মাথায় ৮ বলে ১৭ রানে ফিরে যান মুশফিক। এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে দর্শক বানিয়ে সফরকারী বোলারদের ওপর বুলডোজার চালাতে থাকেন সৌম্য সরকার। এমপোফুর শেষ দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে দলীয় রান ২০০ স্পর্শ করান সৌম্য।

৩২ বলে ৬২ রানের দৃষ্টিনন্দন একটি ইনিংস উপহার দিয়েছেন সৌম্য। তার ইনিংসটি সাজানো ছিলো ৪টি চার ও ৫টি ছয়ের মারে। অপরপ্রান্তে ৯ বলে ১৪  রানে অপরাজিত থাকেন রিয়াদ। 

নিজেদের ইতিহাসে এটাই বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এর আগে ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ২১৫ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২১১ রানের ইনিংস খেলেছিলো টাইগার ব্যাটসম্যানরা।

এই জয়ে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো স্বাগতিক বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে ৩২ বলে ৬২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন সৌম্য সরকার। 

সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বুধবার মাঠে নামবে দু’দল। এ ম্যাচ দিয়েই সফর শেষ করবে জিম্বাবুয়ে। 

আলোকিত সিরাজগঞ্জ