কাজিপুরের হরিনাথপুর গ্রামের জুড়ান মিয়া নামের এক ভূয়া কাজীকে আটকের পর জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ। কথিত ওই কাজী কাজিপুরসহ পাশের তিনটি উপজেলার বিভিন্ন কাজীর নাম, সিল ও রেজিস্টার ব্যবহার করে একাধিক বাল্যবিয়ে পড়িয়েছেন।
কাজিপুরের পাশ্ববর্তি বগুড়ার ধুনট উপজেলার আইন শৃংখলা কমিটির বৈঠকে সম্প্রতি বাল্যবিয়ে পড়ানোর কাজী হিসেবে জুড়ান কাজীর নাম উঠে আসে। বিষয়টি সেখানকার ইউএনও কাজিপুরের( ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী কে অবহিত করেন।
এছাড়া কাজিপুরের চরকাদহ গ্রামে এক বাল্যবিয়ে পড়ানোয় জুড়ানের বিরুদ্ধে এক নারী (ইউএনও)জাহিদ হাসান সিদ্দিকীর নিকট অভিযোগ দেন। গত বৃহস্পতিবার কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী ওই ভূয়া কাজীকে ডেকে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। ওইদিন রাতে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ইউএনও জুড়ানের বাড়িতে অভিযান চালায় এসময় আশপাশের তিন চারটি উপজেলার বিয়ে পড়ানোর রেজিস্টার ও সিলসহ মোট দুই বস্তা বই উদ্ধার করা হয়।
রাতে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ওই ভূয়া কাজীকে ছয় মাসের জেল দেন( ইউএনও)জাহিদ হাসান সিদ্দিকী, শুক্রবার তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, “ জুড়ানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কাজিপুরসহ পাশের ধুনট, শেরপুর উপজেলার নানা ইউনিয়নে বাল্যবিয়ে পড়ানোর প্রমাণসহ বই ও সিল উদ্ধার করা হয়েছে। গত দেড়মাসেই নানা জায়গার তিনি মোট ২৩ টি বাল্যবিয়ে দিয়েছেন ।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ