শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ওজন কমাতে যে কাজগুলো ভুলেও করবেন না

ওজন কমাতে যে কাজগুলো ভুলেও করবেন না

শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে ঘুম হারাম করছেন না এমন মানুষ কমই আছেন। নারী পুরুষ, ছোট- বড় সবারই এক সমস্যা। ওজন বেড়ে যাওয়ার এখন নির্দিষ্ট কারণ নেই। কেননা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, ফাস্টফুড অনেক বেশি খাওয়া, অপর্যাপ্ত ঘুম, দুশ্চিন্তা, ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াও ওজন বেড়ে যাওয়া অনেক কারণ রয়েছে। 

কঠোর ডায়েট, নিয়মিত শরীরচর্চা এখন সবার রুটিনে যুক্ত হয়েছে। তারপরও ওজন কমছে না। ওজন না কমার অনেক কারণ আছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু ভুলের কারণে ডায়েট এবং শরীরচর্চা করার পরও ওজন কমে না। ওজন কমাতে গিয়ে আমাদের কিছু ভুল ধারণা রয়েছে। যেসব ভুলের কারণে উল্টো ওজন কমার পরিবর্তে ওজন বেড়ে যাচ্ছে। 

চলুন সেগুলো জেনে নেয়া যাক- 

খাবার এড়িয়ে যাওয়া   
ওজন কমাতে তিন বেলাই খাবার খেতে হবে। অনেকে আছেন না খেয়ে কাটিয়ে দেন দিনের বেশিরভাগ সময়। বিশেষ করে সকালের নাস্তা বা রাতের খাবার এড়িয়ে যান,  এটি একটি ভুল ধারণা। সকালের খাবার না খেলে ওজন বৃদ্ধি পায় এবং খালি পেটে গ্যাস্ট্রিক এবং অ্যাসিডিটির  মতো রোগ দেখা দিতে পারে। তিন বেলা খাবার না খাওয়া ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

খাবারে ক্যালোরির পরিমাণ কমিয়ে দেয়া 
একজন স্বাভাবিক মানুষের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন নূন্যতম ১২০০ ক্যালোরি পূরণ করতে হয়। তাই ওজন কমাতে খাদ্য তালিকায় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, চর্বি জাতীর খাবার অবশ্যই রাখতে হবে।

পুরো খাবার গ্রহণ না করা    
পেটে ক্ষুধা রেখে, খাবার গ্রহণ না করা কখনই উচিত না। এতে শারীরিক দুর্বলতা সৃষ্টি হতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাবার তিনবেলা খেতে হবে এবং অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে।

পানি কম পান করা
পানি খাবার হজম করতে সাহায্য করে, দিনে অন্তত ১ লিটার পানি খেলে, বছরে ২ কেজি ওজন কমে যায়। পানি কম পান একেবারেই ঠিক নয়। প্রতিদিন তাই পরিমিত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

অতিরিক্ত ব্যায়াম  
অনেকেই দ্রুত ওজন কমানোর জন্য অতিরিক্ত ব্যায়াম করেন, এটি ঠিক না। অতিরিক্ত ব্যায়ামের ফলে আপনার মাংসপেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং আপনি অসুস্থ হতে পারেন। ব্যায়ামের মাত্রা হতে হবে সহনীয় এবং ধীরে ধীরে এর মাত্রা বাড়াতে হবে।

ব্যায়াম করার সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ    
ব্যায়ামের পর স্বভাবতই বেশি ক্ষুধা লাগে, কিন্তু ব্যায়ামের পর কখনোই ফাস্টফুড জাতীর খাবার গ্রহণ করা যাবে না বা ব্যায়াম করেছেন বলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। এটি আপনার ওজন বৃদ্ধি করে।

রাতের খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পরা 
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৩-৪ ঘন্টা আগে রাতের খাবার খেতে হবে, যাতে খাবারটি হজম হয়ে যায়। ওজন বৃদ্ধিতে একটি বড় কারণ রাতের খাবার হজম না হওয়া। অবশ্যই রাতে খাবারের পর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করবেন তা না হলে খাবার হজম হতে সময় নিবে।

অনিয়মিত ঘুম
আমাদের একটি প্রচলিত ধারণা হলো ঘুমালে মানুষ মোটা হয় বা ওজন বৃদ্ধি পায়। কিন্তু অনিয়মিত ঘুম অর্থাৎ কম ঘুমানো বা বেশি ঘুমানো ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক। স্বাভাবিক মানুষের জন্য প্রতিদিন ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানো আবশ্যক। তাই পর্যাপ্ত ঘুম অবশ্যই নিশ্চিত করবেন।

মানসিক চাপ   
অতিরিক্ত মানসিক চাপে মানুষ বেশি খাবার গ্রহণ করে, এটি ওজন বৃদ্ধির একটি অন্যতম কারণ। মানসিক চাপে নিজেকে অন্য কোনো কাজে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন এবং ফাস্টফুড জাতীর খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।

ক্র্যাশ ডায়েট     
ক্র্যাশ ডায়েটকে না বলুন। ক্র্যাশ ডায়েটে খুবই দ্রুত ওজন কমে যায় এবং এই ডায়েটে আপনার খাদ্য তালিকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য বাদ পরে যায়। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। খুব দ্রুত ওজন কমানোর পর, ক্র্যাশ ডায়েট ছেড়ে দিলে আবার দ্বিগুণ হারে আপনার ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর