ইরানের একটি সামরিক প্রতিষ্ঠান ও নয় ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন সরকার। নিষেধাজ্ঞা পাওয়া সকলেই ইরানের র্শীষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছের লোক। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মার্কিন সরকার এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে ।
ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভেন মুনুচিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, "আজ ট্রেজারি বিভাগ এমন নির্বাচিত কর্মকর্তাদের টার্গেট করছে যারা ইরানের র্শীষ নেতাকে ঘিরে রয়েছে এবং তার অস্থিতিশীল নীতি বাস্তবায়ন করেছে। তার পক্ষে কাজ করার জন্য এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতার পক্ষ থেকে নিয়োগ পাওয়া দেশটির সেনাপ্রধান ও বিচার বিভাগের প্রধানকে নতুন করে আরোপিত এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
সেইসঙ্গে ইরানের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) এক পদস্থ কমান্ডার ও আইআরজিসির সদরদপ্তরের প্রধানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ ছাড়া আয়াতুল্লাহ খামেনির চিফ অব স্টাফসহ তার দফতরের কয়েকজন কর্মকর্তাকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি খামেনির সামরিক ও পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টাদের একটি নেটওয়ার্কের তহবিল আটকানোর জন্য নেয়া হয়েছে।
বিবৃতি অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এখতিয়ারের আওতাধীন ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে কোনো সম্পত্তি থাকলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। এছাড়া অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন করতে পারবে না।
যদি কোনো বিদেশী আর্থিক প্রতিষ্ঠান জেনে শুনে বা তাদের পক্ষে উল্লেখযোগ্য লেনদেন পরিচালনা করে বা সহায়তা করে তবে সেই প্রতিষ্ঠানকে মার্কিন সরকার কর্তৃক শাস্তির মুখোমুখি হতে পারে।
ইরানে সাবেক মার্কিন দূতাবাস দখলের ৪০তম বার্ষিকীর দিন এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। ১৯৭৯ সালের ৪ নভেম্বর ইরানি শিক্ষার্থীরা মার্কিন দূতাবাসে ঢুকে ৪৪৪দিন পর্যন্ত দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জিম্মি করে রেখেছিলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৮০ সালে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং তখন থেকেই দু'দেশের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন পড়ে।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ