সপ্তাহখানেক আগেও তুর্কি অ্যাপ ‘বিআইপি’র নাম ক’জন জানতো? কিন্তু এখন লাখ লাখ বাংলাদেশি স্মার্টফোনে অ্যাপটি ইনস্টল রয়েছে। প্রাইভেসি পলিসি নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ আলোচনায় আসার পরই হঠাৎ আলোড়ন তুলেছে ‘বিআইপি’।
তুরস্কের ভিডিও কলিং ও মেসেজিং অ্যাপটি সম্প্রতি বাংলাদেশে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। গুগল প্লে স্টোর থেকে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের অ্যাপ ডাউনলোডের র্যাংকিং বিবেচনা করে দেখা যাচ্ছে যে, বিআইপি ডাউনলোড মাত্র একদিনের ব্যবধানে ৯২ ধাপ এগিয়ে সবার শীর্ষে উঠে এসেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রিয়তার একেবারে উপরের দিকে থাকা ইমু, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক লাইট-এর মতো অ্যাপগুলোকে পেছনে ফেলেছে তুরস্কের অ্যাপটি। মোবাইল ডেটা বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাপ অ্যানি’ জানাচ্ছে, বাংলাদেশে এখন সবার শীর্ষে রয়েছে তুরস্কের অ্যাপ বিআইপি।
সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক মালিকাধানাধীন প্রতিষ্ঠান হোয়াটসঅ্যাপ নিজেদের গোপনীয়তার নীতিমালায় পরিবর্তন আনার পর থেকেই তুরস্কের এই অ্যাপে প্রতিদিন ব্যবহারকারী বাড়ছে ব্যাপক হারে।
অ্যাপটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তুরস্কের রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর কোম্পানি তুর্কসেলের মহাব্যবস্থাপক মুরাত এরকান সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহকে জানান, কয়েকদিন ধরে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২০ লাখ করে নতুন ব্যবহারকারী পাচ্ছে তারা।
জার্মানি হচ্ছে বিআইপির অন্যতম বৃহত্তম সক্রিয় বাজার। বাংলাদেশ, ফ্রান্স ও ইউক্রেনেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ অ্যাপটি ডাউনলোড করেছেন। ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে অ্যাপটির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। একইসঙ্গে মুসলিম বিশ্বের ব্যবহারকারীদের মাঝেও অ্যাপটি ব্যবহারের বৃদ্ধি ঘটেছে।
বাংলাদেশে বিআইপি’র ব্যবহারকারী বাড়লেও ভারতে সিগনাল এবং টেলিগ্রাম ইনস্টল করতে শুরু করেছেন অনেক গ্রাহক।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ