আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুসারে শুরু থেকেই বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজ ছিল। তবে মঙ্গলবার প্রকাশিত এই সিরিজের সূচিতে দেখা গেছে ওয়ানডে ম্যাচও যোগ করা হয়েছে!
যেখানে পাকিস্তান সফরে যাওয়া নিয়েই অনিশ্চয়তা ছিল সেখানে অতিরিক্ত ম্যাচ সংযোজন করায় অনেকেই অবাক হয়েছেন। তবে এর পেছনে পাকিস্তানের আর্থিক ব্যয় সংক্রান্ত কারণই দেখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে যতবারই পাকিস্তান সফর নিয়ে কথা হয়েছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কর্তাদের মুখে ছিল টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজের কথা। বিসিবি বরাবরই বলে এসেছে শুধু টি-টোয়েন্টি খেলবে।
অপরদিকে পিসিবি চেয়েছে দুই ফরম্যাটেই খেলবে। সংকট সমাধানে মঙ্গলবার দুবাইয়ে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কার্যালয়ে বিসিবি ও পিসিবি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন আইসিসির চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহরও।
সভা শেষে সিদ্ধান্ত হয় পাকিস্তানে তিন মাসে তিন দফায় সফর করবে বাংলাদেশ। প্রতিবারই থাকবে কয়েকদিন করে। সূচি অনুসারে আগামী ২৪, ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি লাহোরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নেবে দুই দল। এরপর দেশে ফিরে আসবে টাইগাররা।
আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ খেলতে ফের পাকিস্তানে যাবে মুশফিক-মুমিনুলরা। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৭-১১ ফেব্রুয়ারি। ম্যাচের ভেন্যু রাওয়ালপিন্ডি।
এরপর পিএসএল-এর বিরতির ফলে আবার দেশে চলে আসবে ক্রিকেটাররা। পিএসএল শেষে এপ্রিলের ৩ তারিখ করাচিতে ওয়ানডে ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান। এই মাঠেই দ্বিতীয় টেস্টে মুখোমুখি হবে দল দুটি।
সফরের জটিল সূচি নিয়ে কথা উঠলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় সেটি মেনে নিয়েছে অনেকেই। কিন্তু দুই টেস্টের মাঝে একটি ওয়ানডে দেখে চোখ কপালে উঠেছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। এমন অদ্ভূত সূচির কারণ হিসেবে জানা গেছে আর্থিক কারণ।
বিশেষ সূত্রে জানা যায়, ভাগে ভাগে সফর হওয়ায় তিনবার বাংলাদেশকে আতিথেয়তা দিতে হবে পিসিবিকে। এ কারণে আর্থিক ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে বহুগুণ। সেটি কিছুটা পুষিয়ে নিতেই করাচিতে সিরিজের শেষ টেস্টের আগে পিসিবি একটি ওয়ানডে ম্যাচ আয়োজন করতে চেয়েছে। বিসিবি সেই প্রস্তাব মেনে নিয়েছে।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ