সম্প্রতি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র একটি ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। চাঁদে পাঠানো নাসার অ্যাপোলো ১৬ অভিযানের ছবি সেটি। চাঁদে অভিযানের ধারাবাহিকতায় ১৯৭২ সালের এপ্রিল মাসে মনুষ্যবাহী অ্যাপোলো ১৬ রকেট পাঠায় নাসা।
অভিযানে যাওয়া মার্কিন তিন নভোচারী জন ইয়ং, কেন ম্যাটিংগ্লি এবং চার্লস ডিউক চাঁদের বুকের বেশ কিছু ছবি পাঠান। সেসব ছবির বেশ কয়েকটিতে চাঁদের বুকে সুউচ্চ ভবনসহ নানা স্থাপনার প্রমাণ মেলে বলে দাবি একদল গবেষকের।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টার এক প্রতিবেদনে মঙ্গলবার জানায়, চাঁদের বুকে হাঁটার সময় কমান্ডিং অফিসার জন ইয়ং তার সহযাত্রী চার্লস ডিউকের যেসব ছবি তোলেন তা নিয়েই রহস্যের জন্ম নেয়। ছবিতে দেখা যায় ডিউকের পেছনে চাঁদের মাটিতে জেগে রয়েছে বেশ কিছু রহস্যময় স্থাপনা। যা কখনোই প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট নয়!
সম্প্রতি সেসব স্থাপনার ছবি নিয়েই আলোচনা চলছে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা রাশিয়াকে পেছনে ফেলতে ১৯৬৯ সালের জুলাই মাসে প্রথম মানুষবাহী অ্যাপোলো ১১ চাঁদে পাঠায়। যা নিয়ে এখনও বিতর্ক রয়েছে। কারও কারও মতে, স্নায়ু যুদ্ধের সময় নিজেদের মহাকাশ গবেষণার উন্নতি ও ক্ষমতা জাহির করতে সফল চন্দ্র অভিযানের নামে মানুষকে ধোঁকা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
যদিও এই দাবি বরাবরই উড়িয়ে দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। সেই সুত্র ধরেই একদল গবেষক বলছেন, নাসার দাবি যদি সত্যি হয় তবে চাঁদের বুকে মানুষের আগেই উন্নত জাতির পদার্পণ ঘটেছিল। ছবিতে দেখা সেসব স্থাপনা তারই প্রমাণ।
তাদের যুক্তি হচ্ছে, যদি অ্যাপোলো ১৬ অভিযানের সময় তোলা ছবিগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা নাসা না দিতে পারে তবে ধরে নিতে হবে মানুষকে ধোঁকা দিতে পৃথিবীতেই এসব ছবি এবং ভিডিও ধারণ করা হয়েছিল।
গত সোমবার ইউটিউবে এই সম্পর্কিত ভিডিও প্রকাশের পর পরই ১৪ হাজার মানুষ তা দেখে ফেলেন। অনেকেই মন্তব্য করেন নাসা যে চাঁদে কখনই সফল অভিযান চালাতে পারেনি, এসব ছবিই তার প্রমাণ! কারও কারও মতে, এসব ছবি এবং ভিডিও পৃথিবীর বুকেই অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে ধারণের পর তা প্রকাশ করেছিল নাসা।
অবশ্য অ্যাপোলো প্রকল্পের আওতায় মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা চাঁদে সেবার দশম অভিযান পরিচালনা করেছিল। মাত্র ১১ দিনের অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে চাঁদের বুকে পারি জমিয়েছিল তিন নভোচারী।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ