এ বিষয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে বিএনপি থেকে নির্বাচিত ৬ জনপ্রতিনিধির শপথ নেয়ার কথা ছিলো কিন্তু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শপথ না নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন, যার কারণে স্থায়ী কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এ নিয়েও দলের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হয়েছে। শপথ না নেয়ার নির্দেশনা আসলেও শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে তা দাঁড়াবে তা বলা যাচ্ছে না।
২২ এপ্রিল দুপুরে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সংগ্রামী জীবন ও কর্ম নিয়ে লেখা বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে দেয়া বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তবে মওদুদ আহমেদের কথার সঙ্গে খানিকটা দ্বিমত পোষণ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, লন্ডনে বসে বাংলাদেশে কী হচ্ছে তা আন্দাজ করা যাবে না। আমরা চাই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে। সে ক্ষেত্রে বিএনপি নেতাদের শপথ গ্রহণের মাধ্যমে যদি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যায়, সেটা হবে দলের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ। যদি কেউ দলের অভ্যন্তরে নিজের ক্ষমতা বজায় রাখতে গিয়ে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত না করার নীলনকশা হিসেবে নির্বাচনে জয়ী ৬ সংসদ সদস্যকে শপথ নিতে নিষেধ করেন। তবে এটি তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। যদি এখানেই স্থির থাকে নেতারা তবে তা হবে দলের জন্য দুঃখজনক ব্যাপার।
এদিকে শপথ গ্রহণের ইস্যুতে বিএনপিতে এরূপ বিভক্তি দেখে হতাশা প্রকাশ করে একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, একযুগ ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকার পরেও অন্তর্কোন্দলের রাজনীতি থেকে বের হতে পারলো না বিএনপি। একটি দলের ভেতরে যদি সমন্বয়হীনতার অভাব দেখা দেয়, আর সেই অবস্থা যদি একযুগেও মীমাংসা করা না যায়, তবে বুঝতে হবে- সেই দলে রাজনৈতিক মৃত্যু অতি-সন্নিকটে রয়েছে। এমন চলতে থাকলে ২০২৪ সালের নির্বাচন আসতে আসতে বিএনপি একটি সংখ্যালঘু দলে পরিণত হবে বলে আশঙ্কা করা যায়।