সংগৃহীত
শীতের হাওয়া ভেসে আসতেই সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ সদর ও তাড়াশ উপজেলায় শুরু হয়েছে কুমড়োর বড়ি তৈরির ব্যস্ত সময়। গ্রামের উঠান জুড়ে দেখা যায় নারীরা ডাল-মিশ্রিত কুমড়ো বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত, আর পুরুষরাও পাশে থেকে সাহায্য করছেন। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, শীতকালে কুমড়ো বড়ির চাহিদা বাড়ে, তাই এই মৌসুমে উৎপাদন সবচেয়ে বেশি।
শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ সদর ও তাড়াশের নওগাঁ ইউনিয়নের নওগাঁ গ্রামের প্রায় ৬০-৬৫টি পরিবার বছরের পর বছর ধরে এই কাজে নিযুক্ত।
ভাংশিং পাড়ার আজিজুর রহমান বলেন, প্রথমে আমরা সচ্ছল ছিলাম না, কিন্তু কুমড়ো বড়ি ব্যবসা আমাদের পরিবারকে অনেকটা স্বাবলম্বী করে তুলেছে। আগে সন্ধ্যায় ডাল ভিজিয়ে, পরদিন হাতে বড়ি বানাতাম। এখন মেশিন ব্যবহার করলেও স্বাদ অক্ষুণ্ণ রয়ে গেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী হান্নান জানালেন, বর্তমানে কুমড়ো বড়ি হাটবাজারে খুচরা ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ডালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বড়ির দামও বাড়বে।
উপজেলার কারিগররা বলেন, এ অঞ্চলের কুমড়ো বড়ি এত সুস্বাদু যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো হয়, বিশেষ করে রাজধানীতে চাহিদা বেশি।
জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ টি এম গোলাম মাহবুব জানান, পিছিয়ে পড়া মহিলাদের স্বাবলম্বী করার জন্য শিগগিরই কুমড়ো বড়ি তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং তাদের সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
শাহজাদপুরের গ্রামের নারীরা এখন শুধু বাড়ির উপার্জন বাড়াচ্ছেন না, বরং কুমড়ো বড়ি তৈরির হাতিয়ার হয়ে উঠেছেন নিজেদের ভাগ্য গড়ার। শীতের হাওয়ায় রোদে শুকানো কুমড়ো বড়ির সারি যেন তাদের পরিশ্রম ও স্বপ্নের গল্পই বলছে।














