শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জের চলনবিলে বিনাচাষে রসুন চাষাবাদে ঝুকেছে কৃষকেরা

সিরাজগঞ্জের চলনবিলে বিনাচাষে  রসুন চাষাবাদে ঝুকেছে কৃষকেরা

সিরাজগঞ্জের শস্য ভান্ডারখ্যাত চলনবিলে পানি কমার সাথে সাথে বিনাচাষে রসুনের চাষাবাদ শুরু হয়েছে। এ লাভজনক চাষাবাদে ঝুকে পড়েছে কৃষকেরা। প্রতিবছরের ন্যায় এবারো ওই বিলে এ চাষাবাদ শুরু হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উক্ত ঐতিহাসিক বিলে কার্তিকের শেষের দিকে পানি কমতে থাকে এবং অগ্রহায়নের শুরুতে এ বিলের পলিমাটি শুকিয়ে যায়। এ সুযোগে পড়ন্ত পলিমাটির উপর কৃষকেরা হালচাষ ছাড়াই রসুন রোপণ করে। এবার জেলার ওই বিল এলাকার তাড়াশ উপজেলায় প্রায় ৪৪১ হেক্টর জমিতে রসুনের চাষাবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। ইতিমধ্যেই বিনাচাষে প্রায় ২১ হেক্টর জমিতে রসুন লাগানো হয়েছে এবং বীজ রোপণের মাধ্যমে ৪’শ হেক্টর লাগানো হচ্ছে।

এদিকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া, তাড়াশ, পাবনার ভাঙ্গুড়া, চাটমোহর, নাটোরের গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসূমে রসুন চাষাবাদে এ অঞ্চলে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ২১ হাজার হেক্টর। কয়েক সপ্তাহ আগে এসব এলাকার কৃষি জমিগুলোতে আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। এ ধান কাটা শেষে বিনাচাষে রসুন রোপণের ধুম পড়েছে চলনবিল ঘেষা এসব উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। বিনাচাষে লাভজনক এ ফসল বাম্পার ফলনের কারণে প্রতি বছরই কৃষকেরা রসুনের চাষাবাদ করে।

স্থানীয় কৃষকেরা জানান, কার্তিক মাসের শেষে বিল থেকে পানি নেমে যায়। বিলে পলি জমা কাদা-মাটিতে বিনা হালে সারিবদ্ধভাবে রসুনের কোয়া রোপণ করা হয় এবং রোপণ শেষে খড় বিছিয়ে দেয়া হয়। এরআগে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে জমিতে প্রয়োজনীয় সার এবং পানি সেচ দেয়া হয়। এবারো রসুনের বাম্পার ফলনের আশাবাদী।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারো চলনবিল এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিনাচাষে রসুন চাষাবাদ করছে কৃষকেরা। বিল এলাকার বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে কাঁদা মাটিতে এ রসুন রোপণ করা হচ্ছে। আবাহাওয়া অনূকুলে থাকলে এবারো রসুনের বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ: