রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

চিনা বাদাম চাষে লাভের মুখ দেখছে চৌহালীর যমুনা চরের কৃষক

চিনা বাদাম চাষে লাভের মুখ দেখছে চৌহালীর যমুনা চরের কৃষক

 সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার দুর্গোম যমুনা নদীর চরে চিনা বাদাম চাষ করে লাভের মুখ দেখছে এখানকার কৃষক ৷ এ বছর প্রায় ১ হাজার ৫শ' বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করা হয়। প্রতি বছরই উপজেলার ওমারপুর,সোদিয়াচাদপুর,স্হলচর,বাঘুটিয়া, ঘোরজান, খাষকাউলিয়া ও খাষপুকুরিয়া  ইউনিয়নের যমুনা নদীর চরে বাদামের চাষ হয়। এছাড়া কয়ক'টি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী কিছু জমিতেও বাদাম চাষ করা হয়েছে। ফলন ভাল হওয়ায় বাদাম চাষিদের মুখে হাঁসি ফুটে উঠেছে।

যমুনা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের বেলে মাটিতে চিনাবাদামের চাষ করা হয়। বাদাম চাষে চাষিদের বাড়তি খরচ নেই বললেই চলে।বাদামের দাম ভালো পাওয়ায়  দিনদিন যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলে বাদাম চাষে ক্রমেই ঝুঁকছে চাষিরা। স্থানীয় বাদাম চাষিদের ভাষ্যমতে, ‘চরাঞ্চলের বেলে মাটিতে বাদামের ফলন বেশ ভালো হচ্ছে। সেঁচ ও নিরানি ছাড়াই স্বল্প খরচে বাদামের জমিতে সামান্য সার ও কীটনাশক প্রয়োগে ফলন বেশ ভালো পাওয়া যায়। মোঃ মেছের আলী চাষী মোঃ মুন্নাফ আলী,জানান বাদাম চাষে শুধুই লাভ। বেলে দো-আঁশ মাটিতে অধিক তাপমাত্রা, পর্যাপ্ত সূর্য্যের আলো ও মাঝারি বৃষ্টিপাত পেলে চীনাবাদামের ফলন ভালো হয়।

বাজারে বাদামের চাহিদা থাকায় বেশ লাভবান হচ্ছে চাষিরা। ফলে গত কয়েক বছর ধরে বাদাম চাষিরা একে অপরের দেখাদেখিতে লাভজনক বাদাম চাষের দিকে ঝুঁকছে।’ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর যমুনার চরে বিঘাপ্রতি ১৪ থেকে ১৫ মন বাদাম উৎপাদিত হয়। চরাঞ্চলের বেলে মাটিতে লাভজনক বাদাম চাষের পরিধি আরও বৃদ্ধি করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বাদাম চাষিদের পরামর্শ ও উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগীতা পাওয়ায় আগামীতে আরও বেশী জমিতে বাদাম চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে স্থানীয় চাষিরা।

 চৌহালী উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জেরিন আহমেদ জানান, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে মোট ২ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে চিনা বাদাম চাষ করা হয়েছে ৷ এ পর্যন্ত ১ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমি থেকে বাদাম উত্তোলণ করা হয় ৷ হেক্টর প্রতি  ফলন হয়েছে ১.৭০ মেঃ টন ৷

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ: