শীত শেষে ফাগুনের হাওয়ায় গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। গাছজুড়ে মৌমাছির গুঞ্জন আর ফাগুনের হাওয়ায় চারদিকে ছড়িয়ে পড়া মুকুলের ঘ্রাণ প্রকৃতিপ্রেমীদের মুগ্ধ করছে।
পাশাপাশি জানান দিচ্ছে মধুমাসের আগমনী বার্তা। এ বছর শীতের প্রভাব কম থাকায় সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার গ্রাম গুলি গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল। সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নের আম গাছের মুকুলে ছেয়ে গেছে। বর্তমানে চাষিদেরও গাছে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও গাছের মালিগদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চৌহালী উপজেলায় মৌসুমে ‘এর কারণ পরিচর্যার অভাব ও মাটিতে গাছের পর্যাপ্ত খাদ্যের অভাব।
কিন্তু প্রায় বেশ কিছু সময় পর বছরজুড়ে নিয়মিত পরিচর্যা, গাছের গোড়ায় বাঁধ দিয়ে পানি সেচের ফলে গাছ নিয়মিত খাদ্য পাচ্ছে। এতে পরিশ্রমের ফলও মিলছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পর্যবেক্ষণে এমনই চিত্র দেখা গেছে। আম চাষিরা জানান, বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে। আম গাছে মুকুল আসা শুরু করেছে। আমরা কৃষি বিভাগের বিভিন্ন পরামর্শ গ্রহণ করছি। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারাও বাগানে এসে ভালো ফলন পাওয়ার দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জেরিন আহমেদ জানান, চৌহালী উপজেলায় গত বছরের অর্জিত মাত্রা ছিল ২৫ হেক্টর জমি, উৎপাদন ৪১২৫ মে. টন। যার প্রায় ৪০-৩০ভাগ জমিতে গাছের মুকুল চলে এসেছে। চাষিদের বলেছি, ফুল ফোঁটা অবস্থায় কোনো ওষুধ বা কীটনাশক ব্যবহার না করার জন্য। গাছের পোকা গাছের লুকিয়ে থাকে। এ ধরনের পোকা খুব বেশি দেখা দিলে অনুমোদিত কীটনাশক স্প্রে করার পরামর্শ প্রদানের কথা জানান তিনি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে চলতি মৌসুমে চৌহালীতে কয়েক হাজার টন আম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া আশানরূপ ফলন পাওয়ায় চৌহালীতে প্রতি বছর আম গাছের সংখ্যা বাড়ছে বলেও জানান উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জেরিন আহমেদ ।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ