বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

কামারখন্দে কম্পিউটার অপারেটর অর্থের বিনিময়ে নিয়োগের অভিযোগ

কামারখন্দে কম্পিউটার অপারেটর অর্থের বিনিময়ে নিয়োগের অভিযোগ

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে নান্দিনা কামালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নিন্মমান সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।  

নিন্মমান সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগের অভিযোগ এনে গত সোমবার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিন্মমান সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে অংশগ্রহনকারী কয়েকজন পরীক্ষার্থী।

অভিযোগ দায়ের করা পরীক্ষার্থীরা হলেন মিতু খাতুন, হেলাল উদ্দিন খান, রাশেদুল ইসলাম, ফনিরুল ইসলাম, সজীব, কাউসার আলী। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, নান্দিনা কামালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নি¤œমান সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর এই পদে ১৬ জন আগ্রহী নারী পুুরুষ আবেদন করেন। আবেদনকারীদের মধ্যে ১ জন বয়সসীমা পার হওয়ায় তিনি বাদ পড়েন।

গত বছরের ২৪ অক্টোবর ১৫ জন আবেদনকারী নিয়োগের লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ না করে অনার্স/মাস্টার্স পাশ করা লোক নিয়োগ না দিয়ে নিয়োগ কমিটি ১৭ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারী ইউসুফ নামে এক ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রদান করেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ছাইফুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন কামাল, প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল আলম, সহকারি শিক্ষক মাকসুদা আক্তার ও শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন ডিজি’র প্রতিনিধি গঠিত ৫ সদস্যের নিয়োগ কমিটি এ নিয়োগ প্রদান করেন। নান্দিনা কামালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য আনিসুর রহমান ভুঁইয়া জানান, ম্যানেজিং কমিটির কোন অভিভাবক সদস্য নিয়োগ কমিটিতে ছিলো না।

আমার জানা মতে ১৭ লক্ষ টাকা নিয়ে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক এ নিয়োগ দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, সভাপতি, ম্যানেজিং কমিটির একজন শিক্ষক প্রতিনিধি, শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন ডিজি’র প্রতিনিধি ও আমি সহ ৫ সদস্য বিশিষ্ট নিয়োগ কমিটি করে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। নিয়োগে কোন অনিয়ম হয়নি।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন কামাল জানান, স্বচ্ছতার সাথে  নিন্মমান সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ দেয়া হয়েছে। টাকা নিয়ে নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছাকমান আলী জানান, নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর দেয়া হয়েছে। আমি অনুলিপি পেয়েছি। উর্ধ্বতন কর্মকর্তা আমাকে তদন্ত করতে বললে আমি করবো। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ জানান, বিষয়টি আমি অবগত নই। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ: