সিরাজগঞ্জের তাড়াশের দেশীগ্রাম ইউনিয়নের মাঝদক্ষিণা গ্রামে স্কুলে যাতায়াতের পথে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ছাত্রীরা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছে না। উল্টো বখাটেদের তোপে পড়ে তারা স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
জানা গেছে, প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া-আসার সময় এলাকার সংঘবদ্ধ বখাটে দল মাঝদক্ষিণা বাজারে দাঁড়িয়ে থেকে মাঝদক্ষিণা কেআর উচ্চ বিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আপত্তিকর কথা বলে।
ভুক্তভোগী দশম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রী স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ‘স্কুল যাওয়ার পথে প্রায় প্রতিদিনই কয়েকজন বখাটে ছেলে বাজারে কম্পিউটারের দোকানে বসে থেকে অশালীন কথা বলে। এমনকি প্রেমেরও প্রস্তাব দেয়। এ ব্যাপারে শিক্ষকদের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনও প্রতিকার পাওয়া যায়নি। তাই গত সাত দিন ধরে আমরা স্কুলে যাচ্ছি না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক শাহজাহান আলী বাংলা জানান, ‘এলাকার ও বহিরাগত কতিপয় বখাটের বিরুদ্ধে দশম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার বিষয়ে গত ২০ এপ্রিল ছাত্রীদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীয় চেয়ারম্যানকেও বিষয়টি জানিয়েছি। বেশ ক’দিন ধরেই অভিযোগ করা মেয়েরা স্কুলে আসছে না। হয়তো বখাটেদের কারণেও হতে পারে। বুধবার এ নিয়ে বসার কথা ছিল।’
দেশীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ পেয়ে উভয় পক্ষের অভিভাবকদের নিয়ে বুধবার বসার কথা ছিল। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে বসতে পারিনি। হয়তো রবিবার (২৮ এপ্রিল) বৈঠক হতে পারে। ’
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘নারী শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করার বিষয়টি আমি অবগত নই। ওই গ্রামে প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে। বিষয়টি পূর্ববর্তী দ্বন্দ্বের জের কিনা খোঁজখবর নিয়ে জানতে হবে।’
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফফাত জাহান বলেন, ‘বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের মারফত জেনেছি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় অভিভাবক বা ইউপি চেয়ারম্যান কেউই আমাকে বিষয়টি জানাননি।’
আলোকিত সিরাজগঞ্জ