সিরাজগঞ্জের তাড়াশে শ্রম বিক্রীর হাটে অভাবী ও দিনমজুর মানুষের গড়ে উঠেছে অস্থায়ী হাট। চলনবিল অধ্যাসিতু বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিন শত শত দরিদ্র মানুষ এখানে আসে শ্রম বিক্রি করতে।
মঙ্গলবার দিনের আলো ফোটার আগেই উপজেলার হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কে মহিষলুটি এলাকায় চোখে পড়ে মানুষের জটলা। ফজরের আজানের পর থেকেই মানুষগুলো জড়ো হতে শুরু করে। আরেক শ্রেণির মানুষ এখানে আসে শ্রম কিনতে। এসব শ্রমিকরা ধান কাটা থেকে শুরু করে গৃহস্থালির বিভিন্ন কাজ করে থাকে। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও আশেপাশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকজন শ্রম কিনতে আসে। হাটে ওঠা পণ্যের মত এখানেও চলে দরদাম। এসব শ্রমিকের শ্রমের মূল্য ৭০০-১৫০০ টাকা পর্যন্ত।
জানা যায়, সকাল হলেই চলতে থাকে দরদাম, দাম ওঠানামা করে যাকে বলা হয় বদলি। কেউ বলে কামলা। আবার অনেকে বলেন শ্রমিক। প্রতিদিনি ভোর পাঁচটা থেকে চলে এই বদলির বাজার।
তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের গোয়াল গ্রামের বাসিন্দা কামরুজ্জামান রাজু জানান, বর্তমানে এ অঞ্চলে ফসলি মাঠগুলোতে জলাবদ্ধতার কারনে ধান নিয়ে শ্রমিক সংকটে রয়েছে গৃহস্তেরা। তাই চলনবিল অঞ্চলের সিরাজগঞ্জ, পাবনা, রাজশাহী, নাটোর, গাইবান্ধাসসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন এখানে আসেন কাজের খোঁজে। এক বেলার জন্য বা কয়েকদিনের জন্য তারা বিক্রি হয় এই বাজারে।
শ্রমিকের হাটে পাবনার সাথিয়ার আজগর আলী (৪০)জানান, তাদের নিজ জেলায় কাজ নেই। পাচঁ সদস্যের পরিবারে তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। এ অঞ্চলে শ্রমের দাম বেশী, কাজও বেশী। তাছাড়া প্রতিদিন শ্রম বিক্রি করা যায়। তাই এখানে চলে আসি।
শ্রমিক মহির উদ্দিন বলেন, এ উপজেলায় চলতি বছরে ধান কাটা শ্রমিক সংকট চরমে। তাই শ্রমিকের কদরও বেশি হওয়াতে শ্রমের মুল্য বেশি দিয়েও শ্রমিক নিচ্ছেন গৃহস্থরা।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ