সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলায় ইরি-বোরো ধান কাটা সামনে রেখে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কামার শিল্পীরা। দম ফেলাবারও যেন সময় পাচ্ছেনা তারা। দিন রাত টুংটাং শব্দে মুখরিত হচ্ছে হাট বাজারসহ কামার বাড়িতে।সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কামার শিল্পীরা রানীহাট, গুল্টাবাজার, বারুহাস,বিনসাড়া, নওগাঁসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কামারদের বাড়িতে রাত দিন টানা পরিশ্রম করছেন ইরি-বোরো ধান কাটার জন্য কাস্তে তৈরিতে। একসময় কামার শিল্পীরা স্থানীয় চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি ব্যবসায়ীদের চাহিদা মিটাতো এবং প্রচুর অর্থ উপার্জন করতেন কিন্তু বর্তমানে আধুনিক যন্ত্রাংশের প্রভাবে কামার শিল্পের দুর্দিন চললেও বোরো ইরি ধান কাটার সামনে রেখে জমে উঠেছে এ শিল্প। নওগাঁ বাজারের কামার শিল্পী প্রভাত কর্মকার জানান, এক সময় কামারদের যে কদর ছিল বর্তমানে তা আর নেই। মেশিনের সাহায্যে বর্তমানে আধুনিক যন্ত্রপাতি তৈরি হচ্ছে ফলে আমাদের তৈরি যন্ত্রপাতির প্রতি মানুষ আকৃষ্ট হারাচ্ছে। হয়তো বা এক সময় এই পেশা আর থাকবে না। তবে ইরি-বোরো ধান কাটার সময় আমরা একটু আশাবাদী হই।রানীহাটের কামার শিল্পী সবুজ কর্মকার বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষেরা এই কাজ করে আসছে সারা বছর তেমন কোন কাজ না থাকলেও ইরি-বোরো ধান কাটার জন্য কাস্তে তৈরি করার জন্য আমাদের কাজের চাহিদা বেড়ে যায়।তিনি আরো জানান, বর্তমানে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারের ফলে কৃষি কাজে ব্যবহার করা দেশীয় তৈরি সব পুরনো উপকরন আর তেমন ব্যবহার করা হচ্ছে না। প্রযুক্তি নির্ভর কৃষিতে লোহার তৈরি পুরনো সব উপকরনের যোগ্যতা এখন আর নেই বললেই চলে। কৃষি উপকরনসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরিতে জড়িত কামার শিল্পীদের প্রায় সারা বছর কাজ নেই বললেই চলে।আর এতে করে অভাব অনটনের মধ্যে দিয়ে তাদের চলতে হয়। কিন্তু প্রতি বছর ইরি-বোরো ধান কাটার সময় কাস্তে তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করেন কামার শিল্পীরা।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ