সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট পেতে তেমন বিড়ম্বনা নেই বরং আগের তুলনায় অনেকটাই শৃঙ্খলাতার মধ্যদিয়ে যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারি পরিচালক মোঃ জাহিদ ইকবাল। তিনি একান্ত এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে “পাসপোর্ট নাগরিক অধিকার -সার্বিক সেবাই অঙ্গীকার” এই প্রতিপাদ্যকে ধরে বাংলাদেশ সরকার ইমেগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর জনসেবায় নাগরিকের যথার্থ সেবা প্রদান করে আসছে। বিদেশ গমনাগমন ইচ্ছুক বাংলাদেশী নাগরিকগন এখন অনলাইনে আবেদন করে ততসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র্যাদি সংযুক্ত করে জমা দিয়ে ই-পাসপোর্ট খুব সহজেই পেতে পারছেন।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে সরজমিনে দেখা যায় সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে কর্মদিবসের প্রতিদিনই শত শত পাসপোর্ট প্রত্যাশিদের সুশৃঙ্খল লাইন মেনে এই সেবা নিতে কোন বিড়ম্বনার শিকার তেমনটা হচ্ছে না। বরং সেবা পেতে কোন প্রকার অসুবিধা হলে অথবা কোন প্রকার অভিযোগ থাকলে সরাসরি অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা তাৎক্ষণিক গ্রহণ করা হয় বলে জানা গেছে।
প্রতিমাসে প্রায় ছয় হাজারের বেশি আবেদনপত্র জমা হচ্ছে। এবং পাঁচ হাজারের বেশি ই-পাসপোর্ট প্রদান করা হচ্ছে যা আগে তুলনায় অনেক বেশি বলে জানা যায়।
বিদেশ গমনাগমন ইচ্ছুক নাগরিকদের আবেদনকারীদের সংখ্যা ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পেতে পারে এজন্য প্রয়োজনে সুশৃঙ্খলতা ধরে রাখতে ও সঠিক সেবা প্রদানে তিনি তার দপ্তরের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। সিরাজগঞ্জ জেলার দূরদূরান্ত থেকে আসা পাসপোর্ট গ্রহনকারী ও স্হানীয় অনেকেই এমন ব্যবস্থাপনায় সেবা দেখতে পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অনেকে আশা পোষণ করে বলেছেন জেলার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যদি আরো জনবল থাকতো তবে প্রশাসনিক কার্যক্রম আরো দ্রুত গতিতে শেষ হতো ফলে দূরদূরান্ত থেকে আশা পাসপোর্ট সেবাপ্রত্যাশিরা আরো দ্রুত সেবা পেতো।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ