১২ কিলোমিটার যমুনা নদী ও চর পাড়ি দিয়ে কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্ম দিয়েছেন জজিরা চরের ঝুমা খাতুন (১৯), পানাগাড়ি চরের মহসিনা খাতুন (২১) এবং চক শিয়ালকোল গ্রামের বেবী নাজনীন (২৩)। তিনজন প্রসূতির প্রথম দুজন পুত্রসন্তান এবং শেষের জন কন্যা সন্তান জন্ম দেন।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিরাপদে সন্তান প্রসব করাকে উৎসাহিত করতে ওই তিনজন প্রসূতিকে উপহার দিয়েছেন সিরাজগঞ্জের স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক (ডিডিএলজি) তোফাজ্জল হোসেন। মঙ্গলবার বিকেলে কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রসূতি মায়েদের হাতে উপহারসামগ্রী তুলে দেন তিনি।
স্বাস্থকেন্দ্রে এসে নিরাপদে সন্তান জন্ম দেওয়া এবং জন্মের সাথে দ্রুততম সময়ে জন্ম নিবন্ধনকে উৎসাহিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান উপপরিচালক তোফাজাজল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘ওই তিন সাহসী মা যমুনা নদী পার হয়ে কাজিপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসেছে। এই সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। আমি আজকেই তাদের জন্ম নিবন্ধনের বিষয়টি চূড়ান্ত করার ব্যবস্থা নিচ্ছি। বর্তমান সরকার জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের গুরুত্ব দিয়েছে। যথাসময়ে এই কাজগুলো করা জরুরি। ’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) এ বি এম আরিফুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোমেনা পারভীন পারুল, আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার, ডা. জাকারিয়া খান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা চিত্রা রানী সাহা, সমাজসেবা অফিসার আলাউদ্দিন, কাজিপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক আবদুল জলিলসহ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত নার্সগণ।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ