আজ সিরাজগঞ্জের “শিয়ালকোল গণহত্যা দিবস”। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে (১৮ মে) পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী শিয়ালকোল বাজারে অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তাঁদের অপরাধ ছিল তাঁরা সেদিন চণ্ডীদাসগাঁতি এলাকায় শান্তি কমিটির সভায় যোগদান করেননি। শিয়ালকোল বাজারের উত্তরপাশে তাঁদেরকে হত্যা করা হয়।
সেদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম হত্যার শিকার হন- ফনিন্দ্রনাথ দাস, পিতাঃ ফটিকচন্দ্র দাস, শিয়ালকোল; সুঠুচন্দ্র দাস, পিতাঃ ভবানীচন্দ্র দাস, শিয়ালকোল; প্রেমচন্দ্র দাস, পিতাঃ কৃষ্টচন্দ্র দাস, শিয়ালকোল; শিবপূজন দাস, পিতাঃ গোপীপূজন দাস, শিয়ালকোল; গেন্দুচরণ দাস, পিতাঃ অজ্ঞাত, সিরাজগঞ্জ; আবদুল মোমেন, পিতাঃ অজ্ঞাত, সিরাজগঞ্জ।
গেন্দুচরণ দাস শিয়ালকোলের শ্যামচরণ ঘোষের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। হানাদার বাহিনীর লোকেরা সেখানেই তাকে হত্যা করে। আবদুল মোমেন সিরাজগঞ্জ জ্ঞানদায়িনী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। প্রাণের ভয়ে তিনিও শিয়ালকোলের শ্যামাচরণ ঘোষের বাড়িতে আশ্রিত থাকাকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর জল্লাদরা তাকে বেয়নেট চার্জ করে নির্মমভাবে হত্যা করে।
শিয়ালকোলে নিহত এসব শহিদদের স্মরণে প্রতিবছর পালন করা হয় “শিয়ালকোল গণহত্যা দিবস”। এই স্মরণসভার আয়োজন করেন সিরাজগঞ্জ গণহত্যা অনুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক মো. সাইফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে শহিদ পরিবারগুলোর সদস্যদের সম্মানিত করা হয়।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ