বৃদ্ধ দম্পতি গোলজার হোসেন ও তার স্ত্রী মালেকা খাতুন। বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে। এক সময় ভ্যান চালিয়ে সংসার চালানো গোলজার হোসেন বছর খানেক আগে প্যারালাইসড রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। গত দুদিন ধরে অভুক্ত ওই দম্পতি একমুঠো খাবারের জন্য মানুষের দারে দারে ঘুরেছেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। তাৎক্ষণিক সেই দম্পতির পাশে দাঁড়িয়েছেন কাজীপুর উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে একমুঠো খাবারের জন্য উপস্থিত হন বৃদ্ধ দম্পতি। কিন্তু কাকে বলতে হবে কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। শুধু দু'চোখে অশ্রু ঝরাচ্ছিলেন। তাদের কাছে সাংবাদিক এগিয়ে গেলে গোলজার হোসেন কাঁদো কাঁদো গলায় বলেন, দুই দিন হইলো খাইবার নাই। না খায়া আছি দুইজন। একজন কইছে টিএনও (ইউএনও) স্যারের কাছে গেলি খাবার দিবো। তাই আইসা বইসা আছি। কাক্ কমু বাবা? কিছুই বুইঝতাছি না।
পরে বিষয়টি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একেএম শাহাআলম মোল্লাকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক ওই দম্পতির কাছে যান। অবস্থা দেখে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয়ের শীতবস্ত্র ও খাবার তুলে দেন তাদের হাতে। খাবার ও শীতবস্ত্র পেয়ে ওই দম্পতি বলেন, দুই বস্তা খাবার দিছে। কয়েকদিন খাইবার পারমু প্যাট ভইরা। জাড়ের (শীত) জন্য কম্বল দিছে। স্যারেক আল্লাহ ভালো রাহুক।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একেএম শাহাআলম মোল্লা জানান, বিষয়টি জেনে সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে কম্বল ও খাবার দেয়া হয়েছে। গাড়িতে বাসায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে ওই দম্পতিকে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, বিষয়টি আগে যদি কেউ আমাদের জানাতো তাহরে তাদের বাসাতেই খাবার পৌঁছে দিতাম।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ