শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেনের পরিচালনায় পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অর্জন-৭

মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেনের পরিচালনায় পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অর্জন-৭

মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর আত্মত্যাগের কথা সিনেমার মাধ্যমে তুলে ধরতে নির্মিত হচ্ছে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘অর্জন-৭১’।  এ উপলক্ষ্যে গতকাল দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে হয়ে গেল এ সিনেমার সাইনিং ও আশীর্বাদ অনুষ্ঠান। এমন মহতী উদ্যোগ নেওয়ায় নির্মাতা মির্জা সাখাওয়াত হোসেনকে ধন্যবাদ জানান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম।

তিনি বলেন, “এটা অত্যন্ত আনন্দ ও গর্বের বিষয়। মুক্তিযুদ্ধ শুধু নয় মাসের একটি ঘটনা নয়, বরং এর পেছনে রয়েছে অনেক ত্যাগের ইতিহাস।” বাংলাদেশের চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজকদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আরও বেশি কাজ করার আহ্বান জানান নাসিম।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের সদস্যরা থ্রি নট থ্রি রাইফেল নিয়েই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ট্যাংক, কামান আর মেশিনগানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রথম সেই প্রতিরোধ যুদ্ধ পরে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।

নির্মাতা মির্জা সাখাওয়াৎ বলেন, “মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এগারোশ পুলিশ সদস্যের মধ্যে একজন ছিলেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের মিয়া। তার আত্মত্যাগের কাহিনী নিয়েই মূলত সিনেমার গল্পটি তৈরি হয়েছে।”

এ চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রনাট্য লেখার কাজে সহযোগিতার জন্য আব্দুল কাদের মিয়ার বড় মেয়ে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা নূর জাহান বেগম কিরণকে ধন্যবাদ জানান সাখাওয়াৎ।

যে পুলিশ সদস্যকে ঘিরে এ সিনেমার কাহিনী গড়ে উঠেছে, সেই এসআই আব্দুল কাদের মিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিলেন পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ তার নেতৃত্বেই দেবীগঞ্জ থানা ও আনসার ক্লাবের সামনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। অনুগত পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি ।

এমনই এক সম্মুখ সমরে আহত কাদের স্ত্রী-সন্তানদের দেখতে বাড়িতে এলে রাজাকাররা তাকে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে ধরিয়ে দেয়। তাকে থানায় নিয়ে নির্যাতন করার পর গুলি করে হত্যা করা হয়।

সাখাওয়াৎ বলেন, “মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর অংশগ্রহণ, রাজারবাগ আক্রমণ ও প্রতিরোধ যুদ্ধ, সারদা পুলিশ অ্যাকাডেমিতে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ, মুজিবনগরে বাংলাদেশ সরকারকে পুলিশের নেতৃত্বে গার্ড অব অনার দেওয়া এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্য আবদুল কাদের মিয়ার আত্মত্যাগ- সব নিয়েই এ সিনেমার চিত্রনাট্য সাজানো হয়েছে।”

এ সিনেমায় মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কাদের মিয়ার চরিত্রে অভিনয় করবেন শতাব্দী ওয়াদুদ। আর তার স্ত্রী ফিরোজার ভূমিকায় দেখা যাবে চিত্রনায়িকা মৌসুমীকে।

সাইনিং ও আশীর্বাদ অনুষ্ঠানে মৌসুমী বলেন, “এই সিনেমায় তুলে ধরা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা। তারা কীভাবে মুক্তিযুদ্ধকে সফল করে তুলেছে এই চলচ্চিত্রে সেটিই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে একজন পুলিশ অফিসারের পরিবারের গল্পের মাধ্যমে। এটা একজন মহানায়ক না, বরং অনেক মহানায়ক, অনেক মুক্তিযোদ্ধার গল্প।”

অধিকারকর্মী সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি আব্দুর রহিম খান, ‘অর্জন-৭১’ এর নির্বাহী প্রযোজক এস এম আবদুল হালিম বাশার, বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট গীতিকার শেখ শাহা আলম, শিল্পী আলভী সরকার, রাজিব, কাজিপুর সাহিত্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিশিষ্ট কবি রাশেদ রেহমান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর