শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কোরিয়ানদের অদ্ভূত ঐতিহ্য

কোরিয়ানদের অদ্ভূত ঐতিহ্য

দক্ষিণ কোরিয়া একটি প্রগতিশীল দেশ যেখানে নতুন প্রযুক্তি এবং পুরানো ঐতিহ্য মিলে এক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে। দেশটি প্রতিদিন তাদের নতুন নতুন ভাবনা প্রকাশ করছে সারা বিশ্বের সামনে।তাদের চিন্তাধারা ও ঐতিহ্য বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় ভিন্ন। আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো দক্ষিণ কোরিয়ার এমন কিছু অদ্ভুত কার্যক্রম ও ঐতিহ্য যা শুধু বিনোদনমূলক নয় জ্ঞানমুলকও বটে।

গর্ভবতীদের সুবিধা

1.কোরিয়ানদের অদ্ভূত ঐতিহ্য

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার সে দেশে গর্ভবতী মহিলাদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রধান করে থাকে।বিশ্বের অন্য কোনো দেশে এত সুবিধা দেয়ার কথা হয়ত চিন্তাও করে না।সেদেশে যখন কোনো মহিলা গর্ভবতী হয় তখন সেখানকার সরকার তাদের বিশেষ একটি ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে যার মূল্য ৫০০ ডলার।এ ক্রেডিট কার্ডটি আপদকালীন সময় গর্ভবতীরা নিজেদের জন্য ব্যবহার করতে পারবে।গর্ভবতী মহিলা যদি কর্মজীবী হয় তাহলে তাদের দেয়া হয় আরো একটি বিশেষ কার্ড। যেটি ব্যবহার করে যেকোনো ভ্রমণে তারা বিভিন্ন ছাড় পেয়ে থাকেন।এছাড়া এদেশের মেট্রোরেলে গর্ভবতী মহিলাদের বসার জন্য বিশেষ আসন সংরক্ষিত থাকে, এই আসনলোর রং গোলাপি। শপিং মল,পার্কিং লট সহ সরকারি বিভিন্ন দফতরে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য রয়েছে নানা সুবিধা।শুধুমাত্র গর্ভবতী থাকা অবস্থায় নয় বরং সন্তান জন্মদানের পরবর্তী ছয় মাস পর্যন্ত এ সকল সুবিধা তারা পেয়ে থাকেন।

খাবারের মান যাচাই

2.কোরিয়ানদের অদ্ভূত ঐতিহ্য

দক্ষিণ কোরিয়াতে আপনি যে কোনো খাবার কেনার আগেই তা একবার চেখে দেখতে পারবেন।বেশিরভাগ কোরিয়ান সুপার মার্কেটে অসংখ্য স্যাম্পল থাকে খাবারের, এগুলো রাখা হয় শুধুমাত্র ক্রেতাদের মান যাচাই করার জন্য।আপনি টেস্ট করার পর যদি খাদ্যদ্রব্য না কেনেন তাহলেও কোন অসুবিধা নেই।এর জন্য আপনাকে কোনো বাড়তি চার্জ প্রদান করতে হবে না।

উপহার

3.কোরিয়ানদের অদ্ভূত ঐতিহ্য

উত্তর কোরিয়ায় উপহার দেয়ার ব্যাপারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি খুব বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এই উপহারগুলো অত্যন্ত নিম্নমানেরও হতে পারে। এমনকি তারা উপহার হিসেবে টয়লেট পেপার অথবা টুথপেস্ট ও দিয়ে থাকে। সত্যি বড়ই অদ্ভুত তাদের সামাজিক রীতি ও সংস্কৃতি।কোরিয়ানরা এই ধরনের উপহার দিতে ও নিতে পছন্দ করে,সেটি যদি হয় আবার নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য তাহলে তো আর কথাই নেই।

কোরিয়ান নববর্ষ

4.কোরিয়ানদের অদ্ভূত ঐতিহ্য

কোরিয়ান নববর্ষ সাধারণত জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় হয়ে থাকে। শীতের মৌসুম শেষে টানা তিন দিন যাবত তারা এ উৎসব পালন করে। নতুন বছর শুরুর আগের দিন থেকে প্রয়োজন পর্যন্ত।এ সময়ে তাদের প্রায় সকল দোকান বন্ধ রাখা হয়। ট্রাম ও রেলের আগাম টিকিট দেয়া হয় কারণ উৎসবের সময় সকল দরনের কাউন্টার বন্ধ থাকে।

স্কুলের ইউনিফর্ম

5.কোরিয়ানদের অদ্ভূত ঐতিহ্য

কোরিয়ায় সকল স্কুলের ইউনিফর্ম ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। একটি স্কুলের ইউনিফর্মের সঙ্গে অন্য স্কুলের ইউনিফর্ম কখনো মিলবে না। এটি সরকার কর্তৃক সকল স্কুলের জন্য নির্ধারিত করে দেয়া থাকে।এমনটি করার প্রধান উদ্দেশ্য হলো, যদি কখনো স্কুলের বাচ্চা হারিয়ে যায় তাহলে তাদের এ নিজস্ব ইউনিফর্ম দেখে সহজেই সণাক্ত করা সম্ভব। এটি খুব সহজ এবং সম্পূর্ণ নতুন একটা পদ্ধতি যা কোরিয়ানরা অনুসরণ করে।আর এজন্য খুব সহজেই কোরিয়ান শিক্ষকরা খুব সহজেই তাদের ছাত্রদের প্রতি নজর রাখতে পারে।

অদ্ভুত পড়াশোনার পদ্ধতি

6.কোরিয়ানদের অদ্ভূত ঐতিহ্য

কোরিয়ান বাচ্চাদের পড়াশোনার পদ্ধতি একদমই ভিন্ন।আমরা যখন গভীর ঘুমে মগ্ন থাকি তখন তাদের পড়াশোনা সবে মাত্র শুরু হয়।কোরিয়ান শিশুরা কঠোর পরিশ্রম করে।প্রাথমিক লেভেলে যারা পড়ে তাদের ক্লাস শুরু হয় সকাল ন'য়টায় এবং শেষ হয় সন্ধা ছয়টায় এবং মাধ্যমিক স্কুলের ক্লাস শেষ হতে হতে রাত দশটা বেজে যায়।অপর দিকে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তারা তো আবার মাঝে মধ্যে রাতে বাড়ি ফিরতেই পারে না। কখনো তো পরের দিন দুপুরে বাড়ি ফিরতে হয়।আর এ কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার সমস্ত স্কুল লাইব্রারি ২৪ ঘন্টাই খোলা থাকে।সেখানকার শিক্ষার্থীরা এতটাই ব্যস্ত থাকে তাদের পড়াশোনা নিয়ে যে তাদের ব্যাক্তিগত কোনো ইন্টারেস্ট থাকে না।কারণ তারা নিজেদের জন্য কোনো সময়ই পায় না। অবসর সময় তারা বিশ্রাম ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কাটায়।

লাভবার্ড ম্যাচিং

7.কোরিয়ানদের অদ্ভূত ঐতিহ্য

দক্ষিণ কোরিয়ার কাপেলরা নিজেদের ভালোবাসার গভীরতা প্রকাশ করার জন্য ম্যাচিং করে জামা কাপড় পড়ে।কোরিয়ান কাপেলরা ম্যাচিং করে জামা কাপড় পড়তে খুবই পছন্দ করে। তারা প্রতি মাসে ভেকেশনে যায় এবং এই ভেকেশনে তারা ম্যাচিং ড্রেস পরে থাকে।এসময় তারা প্রচুর ছবি তুলে স্মৃতিকে সংরক্ষণ করে রাখে।দক্ষিণ কোরিয়ার বেশিরভাগ শপিংমলে কাপলদের জন্য এসব ম্যাচিং করা জামা কাপড় কিনতে পাওয়া যায়।তাদের এসব ম্যাচিং কাপড়ের ভেতর শহীদ বংবং, কাপল প্লাজা বা কাপড় মার্কেট অন্যতম। এসব ড্রেসগুলো যেকোনো বয়সের কাপলদের জন্য পাওয়া যায়।

 

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর