রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

ইউক্রেনকে কোরিয়ার মতো পৃথক করতে চায় রাশিয়া

ইউক্রেনকে কোরিয়ার মতো পৃথক করতে চায় রাশিয়া

ইউক্রেনে রুশ সাময়িক আগ্রাসন এক মাস পেরিয়ে গেছে। আপাতদৃষ্টিতে এখনো বড় ধরনের সাফল্য পায়নি রাশিয়া। তবে ইউক্রেনের সামরিক গয়েন্দাপ্রধান কিরিলো বুদানভ বলছেন, রাজধানী কিয়েভসহ প্রধান শহরগুলো দখল করতে এবং দেশের বৈধ সরকারকে উৎখাত করতে ব্যর্থ হয়ে রাশিয়া এখন করোয়িরা মতো ইউক্রেনকে দুইভাগে বিভক্ত করতে চাচ্ছে। রোববার মন্ত্রণালয়ের টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টের প্রতিবেদনে  এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

কিরিলো বুদানভের মতে, ভ্লাদিমির পুতিন পুরো ইউক্রেনকে গ্রাস করার মতো অবস্থানে নেই, তাই তিনি পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চল এবং দেশটির বাকি অংশের মাঝখানে একটা বিভক্তি রেখা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানা গেছে, চার সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষের পর রাশিয়া ইউক্রেনের কোনো বড় শহর দখল করতে পারেনি। এ কারণে শুক্রবার মস্কো হয়তো ইউক্রেন নিয়ে যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল, সেখানেও কাটছাঁট করতে হচ্ছে। হয়তো এখনো পুরোপুরি নিশ্চিতভাবে সেটা বলার সময় আসেনি। তবে সেখানে কর্মকাণ্ডে একটা পরিবর্তন যে ঘটছে, সেটা বোঝা যাচ্ছে।

এখন রাশিয়ার সেনাবাহিনী ডনবাস অঞ্চলের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রতি জোর দিচ্ছে। এর মানে হলো, এমন একটি পৃথক রেখা তৈরি করা, যার মাধ্যমে পূর্বে ইউক্রেন সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে পূর্বে রাশিয়া-সমর্থিত বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক এলাকাকে আলাদা করে রাখবে।

যদি রাশিয়া এই অঞ্চলটাকে সংযুক্ত করতে পারেন, তা হলে একে ইউক্রেনের বাকি অংশ থেকে আলাদা করে মস্কো-নিয়ন্ত্রিত একটি অঞ্চল সৃষ্টি করতে চেষ্টা করবেন, যা অনেকটা কোরিয়া যুদ্ধের পর যেমন হয়েছিল।

কিরিলো বুদানভের বলেন, এ রকম কোনো রাষ্ট্র স্থাপনের চেষ্টা টেকসই হবে না। কারণ স্থানীয় জনগণ একে প্রতিহত করবে। তিনি আরো বলেন, তার দেশ শিগগিরই রুশ-অধিকৃত এলাকায় গেরিলা যুদ্ধ শুরু করবে।

তিনি বলেন, রাশিয়ার আসল সমস্যা হচ্ছে পূর্বাঞ্চল ও ক্রাইমিয়ার মধ্যে একটি স্থল করিডোর প্রতিষ্ঠা ও চালু রাখা। তবে এর পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মারিউপোল, যাকে কোনো রকমেই ভাঙা যাচ্ছে না।

উল্রেখ্য, ডনবাসের দুটি প্রদেশ দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক। ২০১৪ সাল থেকে সীমান্তবর্তী এই অঞ্চল আংশিকভাবে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। সেখানে রাশিয়া-সমর্থিত বাহিনীও রয়েছে। এই প্রদেশগুলোতে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীও রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়া তাদের কোণঠাসা করে ফেলতে চায়। 

ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার আংশিক নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো বেশি সেনা মোতায়েন করেছে মস্কো। সেই সঙ্গে খারসন, জাপোরিঝঝিয়া, মারিউপোল ও দোনেৎস্কও সেনা মোতায়েন করেছে। দোনেৎস্ক ও লুহানস্কে ইউক্রেন বাহিনী রাশিয়ার চারটি ট্যাংক ও সামরিক যানের ১১টি বহর ধ্বংস করার দাবি করেছে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর