ইউক্রেনের ঐতিহাসিক চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র অবশেষে ছেড়ে চলে গেছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কর্মকর্তার বরাত দিয়ে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
এর আগে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রথম দিনেই ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ পরমাণু স্থাপনাটি দখল করে নেয় রুশ সেনারা। দখলের এক মাসেরও বেশি সময় পর সাবেক এ পারমাণবিক কেন্দ্রটি ছেড়ে গেল রাশিয়া। অবশ্য এর আগেই রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে পরমাণু কেন্দ্রটির একটি গবেষণাগার ‘লুট ও ধ্বংস’ করার অভিযোগ উঠে।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা এনারগোএটমের তথ্যানুযায়ী, চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কর্মীরা বলেছেন, বর্তমানে সেখানে কোনো ‘বহিরাগত’ নেই। এর আগে সংস্থাটি বলেছিল, ছোট একটি দলকে রেখে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর একটি বহর বেলারুশিয়ান সীমান্তের দিকে রওনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এনারগোএটম জানিয়েছে, ‘আজ সকালে, হানাদাররা চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ছেড়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।’
রাশিয়ার সৈন্যরা চেরনোবিল প্লান্টের সবচেয়ে দূষিত অংশে পরিখা খনন করেছে এবং বিকিরণের ‘উল্লেখযোগ্য ডোজ’ পেয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি। কেউ কেউ বেলারুশে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলেও অসমর্থিত সূত্রের খবরে শোনা যাচ্ছে।
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কর্মীদের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, কিছু সৈন্যের ধারণা ছিল না যে তারা একটি বিকিরণ অঞ্চলে রয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা এ ধরনের কোনো রিপোর্টের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১৯৮৬ সালেল ২৬ এপ্রিল ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটে। ঐ দিনটি ‘চেরনোবিলের বিপর্যয়’ হিসেবে পরিচিত।
সোভিয়েতের পতনের পর চেরনোবিল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বর্তমান ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্ত হয়। এ পারমাণবিক দুর্ঘটনাকে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ও বিপর্যয় হিসেবে মনে করা হয়।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ