গ্রীষ্মকাল মানেই বাহারি ফলের মেলা। তাইতো বাজারে এখন দেখা মেলে রকমারি ফলের সমাহার। হরেক রকম রসালো দেশি ফলের ঘ্রাণে সুরভিত আমাদের আশপাশ। পাকা আমের সঙ্গে রসালো টসটসে লিচু আমাদেরকে আকৃষ্ট করে। এসব দেশি ফল যেমন মুখরোচক সঙ্গে রয়েছে নানা গুণে সমৃদ্ধ।
তবে সুস্বাদু আম বা লিচু খেতে গেলে একটা সমস্যা দেখা দেয়। আর সেটি হচ্ছে পোকা। যা আপনার আম বা লিচু খাওয়ার মজাই নষ্ট করে দেয়। অনেকেই আবার পোকার ভয়ে আম বা লিচু খেতেই চান না। নিজের অজান্তে যদি পোকা খেয়ে ফেলেন, তবে না জানি কি জটিল সমস্যা দেখা দেবে এই ভয়ও অনেকের মধ্যেই কাজ করে। তাই এই বিষয়টি সবারই জানা থাকা জরুরি যে, নিজের অজান্তে লিচু কিংবা আমের পোকা খেলে কোনো ক্ষতি হয় কিনা। তার আগে জানুন-
লিচু বা আমের ভেতরে পোকা আসে কীভাবে?
গাছে থাকা কয়েক প্রকার ফিমেল পোকা বা মাছি লিচু বা আমের বাইরের পেরিফেরাল টিস্যুতে ফুটো করে ডিম ছেড়ে দেয়। এরপর ধীরে ধীরে লিচু বা আম বড় হতে থাকে। এসময় ছিদ্র অংশটা ফলের কোষ বিভাজন পক্রিয়ায় বন্ধ হয়ে যায়। এই সুযোগেই ডিমগুলো ভেতরে থেকে যায়। এর ফলে আমারা ফলের ভেতরের পোকা দেখতে পাই না। কিছুদিনের মধ্যে ডিমগুলো লার্ভায় পরিণত হয়ে ফলের পুষ্টিরস খেয়ে ভেতরেই বড় হতে থাকে।
এবার প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে, পোকাভরা এই ফল খাওয়ার পর আমাদের শরীরের ভেতরেও কী এর বংশ বিস্তার হবে?
দ্বিতীয় প্রশ্ন, আপনি কি এই পোকার ভয়ে আম বা লিচু খাওয়া ছেড়ে দেবেন?
দুটো প্রশ্নেরই উত্তর- না।
আমামদের ডায়াজেস্টিস সিস্টেম বা খাদ্য পরিপাকতন্ত্র বড্ড ভয়ংকর একটি এসিডিক ল্যাব। আমাদের পেট ও অন্ত্রের এনজাইমগুলো হলো গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিড। এই এসিডিক পরিবেশে লিচু বা আমের পোকা বা কোনো প্রকার লার্ভা বাঁচতে পারে না।
সুতরাং, শরীরের ভেতরে এই পোকা বংশ বিস্তার করবে এই ভেবে লিচু বা আম খাওয়া বন্ধ করবেন না। আম বা লিচুর মধ্যে থাকা পোকাগুলো আপনি যদি অজান্তে খেয়ে ফেলেন, তাহলে ভাববেন- আপনি এক্সট্রা প্রোটিন বোনাস হিসেবে ইনটেক করলেন।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ