বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স ৩০ এর কোঠায় যাওয়া মাত্রই সুস্থ থাকার জন্য কাঠখড় পোড়াতে হবে। ৩০ বছরের পর থেকে শরীর আর আগের মতো ফিট থাকে না।
বয়সের এই পর্যায়ে নারী ও পুরুষদের দেহে এমন অনেক পরিবর্তন ঘটে থাকে যার জন্য ফিট থাকাই একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে যায়।
এই সময় হরমোনের পরিবর্তনের জেরে দৃষ্টিশক্তি কমে যায়, চুল ধীরে ধীরে সাদা হতে থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এর পিছনে রয়েছে আমাদের নানান খাদ্যাভ্যাস।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ৩০ পেরোনোর পর থেকেই আমাদের কিছু খাওয়া বন্ধ করা উচিত। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির ২,৩০০ মিলিগ্রাম সোডিয়ামের বেশি প্রতিদিন খাওয়া ঠিক না।
অন্যদিকে বাজারে পাওয়া জনপ্রিয় ক্যান স্যুপে ৪০ শতাংশ সোডিয়াম থাকে। এটি ত্বকের বার্ধক্যজনিত সমস্যা এবং রক্তচাপের ক্ষেত্রে মারাত্মক সমস্যা করতে পারে।
বয়স ৩০ বছরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেকের উচিত চিনি খাওয়া কম করা। ডায়েটিশিয়ান মার্থা ম্যাকট্রিক জানিয়েছেন, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে একজনের ঘুম ধীরে ধীরে হ্রাস পায়।
এরমধ্যে দিনের বেলায় বেশি পরিমাণে শর্করা জাতীয় খাদ্য খেলে তা স্থূলতার সমস্যা তৈরি করতে পারে। এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সারাদিন ইউভি রশ্মির (অতিবেগুনি রশ্মি) সংস্পর্শে আসার কারণে আমাদের ত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
রাতে ঘুমানোর সময় অনেকটাই ঠিক হয়ে যায়। তবে রাতের দিকে যদি কেউ কফি খান, তবে তা ঘুমের গুণাগুণ নষ্ট করে ফলে সমস্যা বাড়ে।
এছাড়া সকালের খাবার হিসেবে ব্যবহৃত আটা থেকে তৈরি সাদা রুটি শরীরের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এতে প্রচুর পরিমাণে চিনি, কার্বস এবং ফ্যাট থাকে।
এটি কেবল কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হজমের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে, তাই নয় এটি অন্ত্রের জন্যও ক্ষতিকর। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের হজম ব্যবস্থা দুর্বল হতে শুরু করে।
৩০ বছর বয়সে বেশিরভাগ মানুষ খেলাধুলা বা শারীরচর্চায় বেশি সক্রিয় থাকেন না। এমন পরিস্থিতিতে ভাজা বা জাঙ্ক ফুড হজম করা কঠিন হতে পারে।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ