শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আজব দুনিয়া, যেখানে মরেও শান্তি নেই‍

আজব দুনিয়া, যেখানে মরেও শান্তি নেই‍

মৃত্যু মানুষের বলে কয়ে আসে না। মৃত্যু যার যেখানে লেখা আছে সেখানেই হবে। সেখানে ভাগ্যই টেনে নিয়ে যায়। হঠাৎ মৃত্য ঘটে। তবে কখনো কি শুনেছে মানুষ মরেও শান্তি পায় না এমন কথা? হ্যাঁ, বিশ্বের এমন কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে মৃত্যু নিষিদ্ধ। ঘটনাচক্রে কেউ যদি সেসব স্থানে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন তখনই বিড়ম্বনায় পড়তে হয় মৃতের পরিবারকে। 

ভাবছেন তো, এ কি প্রলাপ! মৃত্যু আবার কখনো নিষিদ্ধ হয় নাকি? হ্যাঁ, ঘটনা প্রায় তাই-ই। কেউ চাইলেই মরতে পারবেন না বিশ্বের এই জায়গাগুলোতে। জায়গাগুলো রয়েছে ব্রাজিল, ফ্রান্স, জাপান, স্পেন, নরওয়ে এবং ইতালিতে। চলুন পুরো বিষয়টি কী, তা জেনে নেয়া যাক- 

হেরিটেজ সাইট

পবিত্র ভূমি হিসেবে স্বীকৃত জাপানের শুকুসিমা ইউনেসকোর হেরিটেজ সাইট। এই ভূমি দেবতাদের প্রতি উৎসর্গীকৃত। ১৯৭৮ সাল থেকেই এই ভূমিতে জন্ম বা মৃত্যু নিষিদ্ধ। শুধু তাই নয়, এখানে কোনো হাসপাতাল এবং কোনো সিমেট্রিও নেই।

লানজারোঁ

এখানে কবরস্থানে তিল ধারণের জায়গা নেই। এই স্থানে ১৯৯৯ সাল থেকেই মৃত্যু নিষিদ্ধ। বিষয়টি অনেকে রসিকতা বলে উড়িয়ে দেন। কেউ আবার রাজনৈতিক ফতোয়া বলে মান্য করেন। যদিও পরে এখানে নতুন গ্রেভইয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে।

লে লাভানডৌ
ফ্রান্সের লে লাভানডৌ। জায়গাটি দেখতে ছবির মতো সুন্দর। এখানকার সিমেট্রিটিও পরিপূর্ণ। ২০০০ সালে এখানে একটি আইন পাস হয়। যেখানে বলা হয়ম সুন্দর এই ভূমিতে প্লিজ কেউ মরবেন না!

লঙইয়ারবিয়েন
নরওয়ের লঙইয়ারবিয়েন একটি ছোট শহর। খনি অঞ্চল হিসেবে বিখ্যাত জায়গা এটি। এটি আর্কটিক সার্কেলের খুব কাছেই। ফলে আবহাওয়া অতি ঠান্ডা। তাপমাত্রা প্রায় হিমাঙ্কের কাছে। সেখানে পার্মাফ্রস্টে মৃতদেহ সংরক্ষিত হয়। কিন্তু এর জেরে মৃতদের থেকে নানা রোগ জীবিতদের সংক্রমিত করে। এটা রুখতে সেখানে হঠাৎই ফতোয়া জারি করা হয়, মৃতদের সমাহিত করা যাবে না অতএব এখানে মরা চলবে না!

সারপৌরেনক্স

ফ্রান্সের সারপৌরেনক্স। সেখানকার মেয়র ২০০৮ সালে নিয়ম করেন কারও মৃত্যু সেখানে হবে না। শুধুমাত্র যাদের সমাহিত করার জায়গা থাকবে তারাই মৃত্যু বরণ করতে পারবেন এখানে। মানে মৃত্যুর পর কোথায় সমাহিত হবে সেই জায়গা আগেই ঠিক করে এরপরই মরার অধিকার পাবে। এই নিয়ম ভঙ করলেই মিলবে শাস্তি।

সেলিয়া
দক্ষিণ ইতালির সেলিয়ায় ৬৫ শতাংশ জনগণেরই বয়স ৬৫-র উপরে। তবে এখানে কারো অসুস্থ হওয়া নিষেধ। মৃত্যু তো দূরেরই কথা। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এই আইন জারি করেছেন। তাই নাগরিকদের সুস্থ থাকা বাধ্যতামূলক।

বিরিতিবা মিরিম

ব্রাজিলের বিরিতিবা মিরিম। সাও পাওলোয় অবস্থিত। এখানে মাত্র ৫০ হাজার কবরস্থান রয়েছে। এখানে মৃতের সংখ্যা বাড়লে তাদের দাফনে জায়গা সংকট হবে। স্থানীয় মেয়র দিলেন আইন করে। বললেন, এখানে মরা বেআইনি। ২০০৫ সাল সেই মেয়র আইন করে জানালেন, যদি কোনো পরিবারের কেউ এখানে মারা যান তবে সেই ‍‍‘অপরাধে’ জেল পর্যন্তও হতে পারে। মৃতের পরিবারের সদস্যরা সেই জেলে শাস্তি পাবে।

সূত্র: জিনিউজ

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর