১৯৭৫ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় রোমান্টিক সিনেমা ‘সুজন সখী’। খান আতাউর রহমান পরিচালিত এই সিনেমার মধ্য দিয়ে ফারুক-কবরী জুটি দর্শকদের মনে জায়গা করে নেয়। সিনেমাটি পায় কালজয়ীর তকমা। শুধু এখানেই থেমে থাকেননি ৯০ দশকের রোমান্টিক এই জুটি।
এই সিনেমাটি ছাড়াও তারা অভিনয় করেছেন- ‘জলছবি’, ‘ত্রিরত্ন’, ‘সারেং বউ’, ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘মধুমতি’, ‘শহর থেকে দূরে’ ‘আশা’সহ বেশকিছু চলচ্চিত্রে। তাদের রোমান্টিক জুটি বড় পর্দা মাতিয়ে রেখেছে সে সময়টাতে। তবে রোমান্টিক সিনেমা হিসেবে তাদের ‘সুজন সখী’ আজও নন্দিত এবং এখনো ফারুক এবং কবরীকে সবাই সুজন-সখী নামেই চিনে।
ফারুকের ক্যারিয়ারের প্রথম নায়িকা কবরী। শনিবার (১৭ এপ্রিল) করোনায় আক্রান্ত হয়ে ওপারে পাড়ি জমান কিংবদন্তি এই অভিনেত্রী। অন্যদিকে অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বরেণ্য অভিনেতা ফারুক।
এদিকে ফারুকের শারীরিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ফারুক ভাই আগের চেয়ে অনেকটাই সুস্থ। তার রিপোর্ট আলহামদুলিল্লাহ ভালো এসেছে। ডাকে সাড়া দিচ্ছেন। বর্তমানে এতটুকুই আপডেট জেনেছি। ফারুক ভাইয়ের জন্য দোয়া চাচ্ছি, তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন।
কবরী ও ওয়াসিমের মৃত্যুর খবর এখনো ফারুককে জানানো হয়নি। বিষয়টি উল্লেখ করে জায়েদ খান বলেন, কবরী আপা ও ওয়াসিম ভাইয়ের মৃত্যুর খবর ফারুক ভাইকে জানানো হয়নি।
কিংবদন্তি অভিনেতা ও ঢাকা ১৭ আসনের সংসদ সদস্য ফারুক সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দীর্ঘদিন অচেতন ছিলেন বরেণ্য এই অভিনেতা। এখন চিকিৎসকের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন এবং তার এমআরআই রিপোর্ট ভালো এসেছে। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানিয়েছেন ফারুকের স্ত্রী ফারহানা পাঠান।
টিবি রোগে আক্রান্ত নায়ক ফারুক নিয়মিত চেকআপের জন্য গত ৪ মার্চ সিঙ্গাপুর গিয়েছেন। ১৩ মার্চ কিছু টেস্টে তার টিবি ইনফেকশন ধরা পড়ে। এরপর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর আগে বেশ কয়েক দফায় অসুস্থ হয়েছেন ফারুক। গত বছরের নভেম্বরে করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে বেশ ভালোই ছিলেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ