সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিশেষ তারল্য সহায়তায় ঘাটতি কাটিয়ে উঠছে ইসলামি ধারার পাঁচ ব্যাংক

বিশেষ তারল্য সহায়তায় ঘাটতি কাটিয়ে উঠছে ইসলামি ধারার পাঁচ ব্যাংক

সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ তারল্যসহায়তায় ইসলামি ধারার পাঁচ ব্যাংক ঘাটতি কাটিয়ে বড় ধরনের উদ্বৃত্ত অবস্থায় ফিরে আসছে। ব্যাংকগুলো হচ্ছে—ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল), ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, তারল্য উদ্বৃত্ত হলেও শরিয়াহভিত্তিক এসব ব্যাংক আমানতে পিছিয়ে আছে। অর্থাৎ প্রচলিত ব্যাংকগুলোতে যে হারে আমানত বেড়েছে, ইসলামি ব্যাংকগুলোতে সে হারে বাড়েনি।

দেশে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক রয়েছে ১০টি। এর মধ্যে সংকট থেকে উদ্বৃত্ত অবস্থায় আসা পাঁচ ব্যাংকের বাইরের অন্য ব্যাংকগুলো হচ্ছে আইসিবি ইসলামিক, এক্সিম, শাহ্জালাল ইসলামী, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক।

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষে ব্যাংক খাতে সার্বিক আমানত বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। এর মধ্যে শরিয়াহি্ভত্তিক ১০টি ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকের ইসলামি সেবাকেন্দ্রিক আমানত হচ্ছে ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ ব্যাংক খাতের মোট আমানতের ২৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ ছিল ইসলামি ধারার ব্যাংকে।

গত বছরের মার্চে মোট আমানতে ইসলামি ধারার হিস্যা ছিল ২৭ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। তখন ব্যাংক খাতে মোট আমানতের পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ ২৩ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ইসলামি ধারার আমানত ছিল ৪ লাখ ১১ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা।

এদিকে আমানতে পিছিয়ে পড়লেও ঋণ বা বিনিয়োগে থেমে নেই শরিয়াহভিত্তিক কিছু ব্যাংক। গত বছরের মার্চে ব্যাংকগুলোর মোট ঋণের ২৮ দশমিক ১৫ শতাংশ ছিল ইসলামি ধারার, যা গত ডিসেম্বরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ দশমিক ৯২ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইসলামী ব্যাংকে প্রায় ৬৫৮ কোটি টাকার তারল্যঘাটতি ছিল। তবে গত ডিসেম্বর শেষে উদ্বৃত্ত তারল্য দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। একই সময়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের উদ্বৃত্ত তারল্য দাঁড়ায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। অথচ গত সেপ্টেম্বরে ব্যাংকটিতে তারল্যঘাটতি ছিল প্রায় ৮২৬ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বরের শেষে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের উদ্বৃত্ত তারল্য দাঁড়ায় প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। কিন্তু সেপ্টেম্বরে তারল্যঘাটতি ছিল ১ হাজার ৫৯ কোটি টাকা। গত সেপ্টেম্বর শেষে ইউনিয়ন ব্যাংকের তারল্যঘাটতি ছিল ৪৮৩ কোটি টাকা, তবে ডিসেম্বর শেষে উদ্বৃত্ত তারল্য দাঁড়ায় ২০০ কোটি টাকা। ডিসেম্বর শেষে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকে তারল্য উদ্বৃত্ত হয় ৪০০ কোটি টাকা, এর আগে সেপ্টেম্বরে ঘাটতি ছিল ৪৬৫ কোটি টাকা।

জানা যায়, বার্ষিক আর্থিক অবস্থা ভালো দেখাতে ২০২৩ সালের শেষ কার্যদিবসে এই পাঁচ ব্যাংকসহ মোট ৭টি বেসরকারি ব্যাংককে কোনো জামানত ছাড়াই প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ধার দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এতেই তারল্য উদ্বৃত্ত হয় পাঁচ ইসলামি ব্যাংকে।

সূত্র: ইত্তেফাক

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর