সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১

পরিত্যক্ত কূপ থেকে দিনে মিলবে ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস

পরিত্যক্ত কূপ থেকে দিনে মিলবে ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস

সিলেটের কৈলাশটিলা গ্যাসক্ষেত্রের একটি পরিত্যক্ত কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই কূপ থেকে দৈনিক ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। আগামী সপ্তাহ থেকে এই কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) কর্মকর্তারা।

এসজিএফএল সূত্র জানায়, সিলেটের গোলাপগঞ্জ কৈলাশটিলা-২ নম্বর কূপে দীর্ঘদিন গ্যাস উত্তোলন বন্ধ ছিল। গত ২৭ জুলাই এই কূপ পুনঃখনন শুরু হয়। খননের পর চলতি সপ্তাহে এই কূপে গ্যাসের সন্ধান মিলল।

সংশ্লিষ্টরা জানান, জ্বালানি সংকট নিরসনে গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে দেশের বিভিন্ন গ্যাস ফিল্ডে ৪৬টি কূপে অনুসন্ধান, খনন ও পুনর্খননের পরিকল্পনা নেয় সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে এসব খননকাজ শেষ হওয়ার কথা। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের আওতাধীন ১৪টি কূপ খনন ও পুনর্খননের কাজ চলছে। এই ১৪টি কূপের মধ্যে তিনটির খননকাজ শেষে গত বছর থেকে উৎপাদন শুরু হয়। এবার আরেকটি কূপে উৎপাদন শুরু হবে।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী আবদুল জলিল প্রামানিক জানান, কৈলাশটিলা-২ নম্বর কূপটির পুনর্খনন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে এই কূপের গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। প্রতিদিন এখান থেকে ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া গ্যাসের সঙ্গে এই কূপ থেকে প্রাপ্ত উপজাত থেকে দৈনিক ৭০ ব্যারেল কনডেনসেট উৎপাদন করা যাবে। এই কূপ পুনর্খননে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৭১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

গত বছর সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের আওতাধীন সিলেট-৮, কৈলাশটিলা-৭ ও বিয়ানীবাজার-১ নামের ৩টি পরিত্যক্ত কূপ পুনর্খনন করা হয়। এসব কূপ থেকে বর্তমানে দৈনিক ১৬ থেকে ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হচ্ছে। সবমিলে বর্তমানে এসজিএফএল এর ১৩টি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে। এগুলো থেকে দৈনিক ৯৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ১৯৫৫ সালে সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর আবিষ্কৃত হয় আরও একাধিক গ্যাসক্ষেত্র। বর্তমানে এসজিএফএল এর আওতায় ৫টি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে। এগুলো হলো- হরিপুর গ্যাস ফিল্ড, রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড, ছাতক গ্যাস ফিল্ড, কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড। এরমধ্যে ছাতক গ্যাস ফিল্ড পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ