শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জি-বাংলাসহ বিদেশি কোন চ্যানেল বন্ধ করেনি সরকার। বরং বিদেশি চ্যান

জি-বাংলাসহ বিদেশি কোন চ্যানেল বন্ধ করেনি সরকার। বরং বিদেশি চ্যান

 

জি-বাংলাসহ বিদেশি কোন চ্যানেল বন্ধ করেনি সরকার। বরং বিদেশি চ্যানেলে দেশীয় বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেশীয় চ্যানেলগুলোকে সমৃদ্ধ করার চিন্তা ভাবনা করছিল সরকার। সরকারের প্রাথমিক পরিকল্পনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং দেশব্যাপী সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র এমন মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে বলে জানা গেছে।

মূলত বিদেশি চ্যানেলগুলোর বাংলাদেশি এজেন্ট খ্যাত বেঙ্গল ডিজিটাল কেবল সার্ভিস এবং জাদু ভিশন লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠান বিদেশি চ্যানেলে দেশীয় বিজ্ঞাপন প্রচার করে কমিশন বাণিজ্য চালিয়ে যেতেই এমন গুজব ও চক্রান্ত চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। দেশের একাধিক চ্যানেলের মালিক পক্ষের সঙ্গে আলাপ করে তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেশের জনপ্রিয় একটি চ্যানেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে দাবিয়ে রাখতে এবং এর অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে কিছু মহল সব সময় সক্রিয় ছিল। তাদের কারণে বিদেশী চ্যানেলগুলোতে দেশীয় বিজ্ঞাপন বন্ধের দাবি দীর্ঘদিনের ছিল। কারণ দেশের চ্যানেলগুলো দেশীয় বিজ্ঞাপন প্রচার করে দেশের শিল্প-বাণিজ্য ও ব্যবসা প্রচারে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছিল। কিন্তু মাঝ খানে হঠাৎ করে বেঙ্গল ডিজিটাল কেবল সার্ভিস এবং জাদু ভিশন লিমিটেড নামের দুটি ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠান ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে বিদেশি চ্যানেলে দেশীয় বিজ্ঞাপন প্রচার করে বছরে ৫’শ থেকে ১ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।

তিনি আরো বলেন, দেশীয় গণমাধ্যমের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করতে এসব করছিল সংস্থা দুটি। এর মধ্যে আবার সরকারকে দেশব্যাপী বিব্রত করতে এখন বিদেশি চ্যানেল বন্ধের নামে মিথ্যাচার করছে এই চক্রটি। সরকার দেশের গণমাধ্যমের বিকাশের পক্ষে। সেক্ষেত্রে দেশের স্বার্থও দেখতে হয়। সরকার যা চিন্তা করছে সেটির বিপরীতে একটি চক্র ঝামেলা সৃষ্টি করতে কৌশলে দেশে বিদেশী চ্যানেল প্রদর্শন বন্ধ করে দিয়েছে। সরকারকে বিব্রত করে বিদেশি স্বার্থ উদ্ধারে যারা ষড়যন্ত্র করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ করছি।

অন্য দিকে গোপনীয়তা রক্ষার শর্তে টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাটকো’র সদস্য ও একটি বেসরকারি চ্যানেলের সিইও বলেন, বাংলাদেশের ‘কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬’ এর উপধারা-১৯(১৩) এর বিধান মতে বাংলাদেশে বিদেশি টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে কোনো ধরণের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করা যায় না। শুধু দেশীয় বিজ্ঞাপন নয়, কোনো ধরণের বিজ্ঞাপন দেখানো যায় না। একই ধরণের আইন ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশে এখনও বলবৎ রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে জি-বাংলা, জি-সিনেমা দেখা যাচ্ছে না একটি সিন্ডিকেটের কারণে। বেঙ্গল ও জাদু নামের দুটি প্রতিষ্ঠান আজকে দেশের দর্শকদের জিম্মি করে সরকারের উপর দোষ চাপাচ্ছে। সরকারকে বিব্রত করে কোন লাভ হবে না। দেশবাসীর জানা উচিত সরকার কখনই জনগণের বিনোদন বা ভালোলাগার অন্তরায় না। অবৈধ ও অনৈতিক উপায়ে পয়সা ইনকামের রাস্তা বন্ধ হওয়ার ভয়ে এখন মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে দুটি এজেন্সি। সকলকে এই বিষয়ে সচেতন হওয়া উচিত।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর