রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০১৯’–এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,পুলিশের হাতে যেন কোনও নিরীহ মানুষ হয়রানি শিকার না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পুলিশের প্রত্যেক সদস্যের ওপর অর্পিত দায়িত্বনিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে পালনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করে জনবান্ধব পুলিশে পরিণত হবে।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের মনে রাখতে হবে, দেশের নিরীহ জনগণকে কোনও ধরণের হয়রানি বা নিপীড়ন করাযাবে না। জনগণ হয়রানির শিকার হলে বা বিপদে পড়লে তাদের সহযোগিতা করুন। জনগণ এটাই আপনাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করে।আপনারা দেশের বিভিন্ন পরিবার থেকে এসেছেন। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা মানে আপনাদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। দেশেরশান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করা আপনাদের দায়িত্ব। আপনাদের হাতে কোনও নিরীহ জনগণ যেন নির্যাতন বা হয়রানির শিকার না হয়। বরং কেউ হয়রানিহলে আপনারা তাদের সর্বোচ্চ সহায়তা দেবেন। এটাই আপনাদের কর্তব্য।’
দেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকা প্রয়োজন
উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই দেশটা আমাদের। এখানে শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের।শুধু দেশেই নয়, গত প্রায় তিন দশক ধরে বাংলাদেশ পুলিশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিজেদের কর্মদক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্বপালন করে বহির্বিশ্বে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে। জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।’
যুব সমাজকে রক্ষায় সরকার মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে— এ কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের সমৃদ্ধি। তাই যুব সমাজ ধ্বংসকারী মাদকের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। মাদক নির্মূলে পুলিশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে চলেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা পুলিশকে বহুমুখীভাবে গড়ে তুলেছি, যাতে সর্বক্ষেত্রে মানুষ সুবিধা পায়।আমরা নতুন নতুন বিভাগ গড়ে তুলেছি।নতুন থানা, রেঞ্জ, র্যাব কার্যালয় গড়ে তুলেছি মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য
তাছাড়া পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সারাদেশে ৩০টি ট্রেনিং সেন্টার খোলা হয়েছে।আমরা পুলিশদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যাপারে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। অনুষ্ঠানে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের ‘অসীম সাহসিকতাও বীরত্বপূর্ণ’ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী এ বছর পুলিশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ৩৪৯ জন সদস্যের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ