রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিদেশি দুম্বা-ছাগল পালনে আনোয়ারের সাফল্য

বিদেশি দুম্বা-ছাগল পালনে আনোয়ারের সাফল্য

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার পাথুরিয়া গ্রামে বিদেশি দুম্বা, ছাগল ও গাড়লের খামার করে সাফল্য পেয়েছেন আনোয়ার হোসেন নামের এক যুবক। লাভজনক হওয়ায় তিনি দিন দিন খামারের পরিধি বাড়াচ্ছেন। এ ধরনের প্রাণী পালনের বিষয়ে তাঁর কাছ থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ পরামর্শও নিচ্ছেন।

গুরুদাসপুর উপজেলার পাথুরিয়া গ্রামে বাড়ির পাশেই ফাঁকা জমিতে খামার গড়ে তুলেছেন আনোয়ার হোসেন। ৪টি ছাগল দিয়ে খামার শুরু করলেও বর্তমানে সেখানে ১৫টি দুম্বা, ৩৩টি পাঁঠা, ২২২টি ছাগল ও ৩২টি গাড়ল আছে। প্রতিবছর ৪০০ থেকে ৫০০টি ছাগল, দুম্বা ও গাড়ল বিক্রি হয় এ খামার থেকে। খামারে ভারতের তোতাপুরি, হরিয়ানা, পাকিস্তানি বিটল ও সংকর জাতের ছাগল এবং পাকিস্তানের দুম্বা ও ভারতের গাড়ল আছে। রাজস্থান থেকে আনার পর খামারে ছাগলগুলোকে কৃত্রিমভাবে প্রজনন করানো হয়। চার থেকে সাড়ে চার মাস পর বিক্রি শুরু হয়। দেশজুড়ে ক্রেতা রয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে ছাগল দেখে কিনতে পারেন ক্রেতারা।

আনোয়ার হোসেন বলেন, ছোটবেলা থেকেই ছাগল পালনে আগ্রহ তাঁর। ২০০০ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে ছাগল পালন শুরু করেন। এর সাত-আট বছর পর রাজস্থানের ছাগলের সন্ধান পান। শুরু করেন রাজস্থান থেকে ছাগল আমদানি। পরে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে খামারে বাড়তে থাকে ছাগলের সংখ্যা। লাভজনক হওয়ায় গড়ে তোলেন বাণিজ্যিক খামার। পাশাপাশি চালিয়ে যান পড়াশোনা। নবাব সিরাজউদ্দৌলা কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এখন তাঁর লক্ষ্য খামারের পরিধি বৃদ্ধি।

আনোয়ার হোসেন জানান, সারা দেশ থেকে তাঁর মুঠোফোনে কল আসে। মেসেঞ্জার, ইমোতে ছাগল দেখাতে হয়। অনেকে ছাগলের রোগবালাই সম্পর্কে পরামর্শ চান। তিনিও সহায়তা করেন। তিনি জানান, তাঁর ছাগলগুলোকে মেশিনে খড় কেটে অ্যাংকর ভুসি মিশিয়ে লবণ–পানি দিয়ে খেতে দেওয়া হয়। পাশাপাশি কাঁঠালগাছের পাতা ও উন্নত জাতের ঘাস খেতে দেওয়া হয়।

লালন-পালনের বিষয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রাণীগুলোর রোগবালাই খুব কম হয়। প্রতিদিন একটি পশু ২৫ থেকে ৩০ টাকার খাবার খায়। দুম্বা-গাড়ল কাঁচা ঘাস খায়। সময়মতো প্রতিষেধক দিলে ঠিকমতো বেড়ে ওঠে। প্রতিটি দুম্বা বছরে দুটি করে বাচ্চা দেয়। ৩ মাসে ১টি বাচ্চার ওজন হয় ৩৫ থেকে ৪০ কেজি পর্যন্ত, যার বর্তমান বাজার মূল্য ১ লাখ টাকা।

গুরুদাসপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আনোয়ার হোসেন একজন শিক্ষিত খামারি। তিনি চাকরির পেছনে না ছুটে খামার গড়ে তুলেছেন। আমার অফিসের সঙ্গে তাঁর সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে। তাঁকে সার্বিক সহযোগিতা করা হয়। তাঁর এ সফলতায় অনুপ্রাণিত হয়ে কেউ খামার গড়ে তুলতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে সহযোগিতা করা হবে।’

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর