মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ফরিদপুরে মুড়িকাটা পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা, খুশি কৃষকরা!

ফরিদপুরে মুড়িকাটা পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা, খুশি কৃষকরা!

ফরিদপুরে মুড়িকাটা পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। শীতের মাঝামাঝি হালি পেঁয়াজ রোপনে কৃষকরা ব্যস্ত থাকলেও ঠিক তখনই মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে সরবরাহ করার মাধ্যমে পেঁয়াজের চাহিদা পূরণ করা হয়। আবহাওয়া ভালো থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। সাথে সাথে আগের তুলনায় পেঁয়াজ উৎপাদনে খরচের পরিমান দেড় গুণ বাড়ায় চিন্তায় আছেন কৃষকরা। ভালো ফলন, বাজারদর ও পেঁয়াজ আমদানি না করলে লাভবান হতে পারবেন বলে জানায় কৃষকরা।

কৃষি অফিসের সূত্র মতে, চলতি বছর ফরিদপুর জেলায় ৪ হাজার ৫৫৮ হেক্টর জমিতে ‘মুড়িকাটা’ পেঁয়াজের আবাদ হবে। এবছর পেঁয়াজের দাম ভালো পেলে আগামীতে এর চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে।

সরেজমিনে জেলার সদরের আদমপুর, অম্বিকাপুর, চরমাধবদিয়া, মোমিন খার হাটসহ বিভিন্ন এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা যায়, চাষিরা কেউ মুড়িকাটা পেঁয়াজের ক্ষেতের শেষ মুহূর্তের পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন। তারা আশা করছেন পেঁয়াজের ভালো ফলন হবে এবং যদি পেঁয়াজ আমদানি না করা হয় তাহলে তরা লাভবান হতে পারবেন।

চরমাধবদিয়ার চাষি তুহিন মণ্ডল বলেন, আগের তুলনায় পেঁয়াজ চাষে খরচ বেড়েছে। আগে বিঘাপ্রতি ৪০-৫০ টাকা খরচ হতো। এখন ৬০-৭০ হাজার টাকা খরচ হয়। আর বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করলে তো আর আমাদের উৎপাদিত পেঁয়াজের কোনো দামই থাকেনা। এবছর যদি পেঁয়াজ আমদানি করা না হয় তাহলে লক্ষাধিক টাকার পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারবো।

পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত থাকায় অম্বিকাপুরের চাষি মো. রাজর হোসেন বলেন, এবছর ছোট মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। শ্রমিকের মুজুরি ও অনুষাঙ্গিক খরচ বেশি। বাজারদর ভালো থাকলে আশা করছি লাভবান হতে পারবো।

পেঁয়াজ চাষি আশুতোষ মালো বলেন, সার, কীটনাশক, বীজ সব কিছুর দাম বেশি। তাই আগের তুলনায় খরচও দেড় গুণ বেড়েছে। এবার যদি আমদানি করা হয় আর পেঁয়াজরে বাজারদর ভালো না থাকে তাহলে লোকসানে পড়তে হবে। আর

তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকলে পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো হবে, তবে বিদেশি পেঁয়াজের আমদানি কমাতে হবে, তবেই আমরা লাভবান হবো।

ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে ফরিদপুরে চার হাজার ৫৫৮ হেক্টর জমিতে এ পেঁয়াজের আবাদ হবে আশা করা যাচ্ছে। এ পেঁয়াজ হেক্টরপ্রতি ১৫ থেকে ১৮ টন উৎপাদন হয়। শীতের সময় পেঁয়াজে রঘাটতি থাকলে এই মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাহিদা মেটায়। তখন চাহিদা ভালো থাকে বলে কৃষকরা ভালো দামে বিক্রি করতে পারেন। মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ খরচ তুলনামূলক একটু বেশি হলেও অল্প সময়ে এ ফসল ঘরে তোলা যায়।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর