শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

`বাংলাদেশ জেল কারা পণ্য` স্টলে সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারের খাবার

`বাংলাদেশ জেল কারা পণ্য` স্টলে সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারের খাবার

বাংলাদেশ কারা কর্তৃপক্ষের তত্বাবধানে  এবারের বাণিজ্য মেলায় বাংলাদেশ ‌`জেলা কারা পণ্য` নামে একটি স্টল  দিয়েছে জেল কারা কর্তৃপক্ষ। স্টলটি মেলার ভিআইপি গেট সংলগ্ন জনতা ব্যাংকের পাশে যা রিজার্ভ বরাদ্দ স্টল নং-০৩ নামে পরিচিত।

শেরপুরের ডেপুটি জেলার সৈয়দ মোঃ জাবেদ হোসেন জানান, বৃটিশ সরকারের বেঙ্গল জেল কোড অনুযায়ী কারাবন্দীদের কাজ করার একটি বিধান আছে তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই এই বিধানটি আরো জোরালো বাস্তবায়ন শুরু হয়।
তিনি বলেন, কারাবন্দীদের নিপুন হাতের সূক্ষ্ম কাজের বিভিন্ন পণ্য আজকের এই বাণিজ্য মেলায় স্থান পেয়েছে।

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ও জেলা মিলে প্রায় ৩৪ টি কারাগারে উৎপাদিত শাখায় উৎপাদন পণ্যগুলো নিয়ে এবারের জেল কারা পণ্যের আয়োজন। প্রায় চারশত পণ্য এসব কারাগারে উৎপাদন শাখায় তৈরি হয়। এর মধ্যে ঐতিহ্যবাহী তাতঁশিল্প, মৃৎশিল্প, বাঁশ- বেত, প্লাস্টিক ও হাতে তৈরী বাহারি রকমের রুচিশীল পণ্য অন্যতম। 

হস্ত শিল্পের পাশাপাশি মেশিন দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পণ্যের সমাহার দেখতে পাওয়া যায়। জেল কারা পণ্যের মধ্যে রাজশাহী জেলা কারাগার থেকে জামদানি শাড়ি, রাজশাহী সিল্ক ছাড়াও ব্লক শাড়ি  ও নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে  নকঁসি কাথা এসেছে। 
এছাড়াও চাদর, কার্পেট, বেত ও বাঁশের ফার্ণিচার যেমন: মোড়া, ইজি চেয়ার, বুক সেলফ কাঠের ফার্নিচারের মধ্যে সোফা, আলমারি, ফুড কাভার,ফলের ঝুড়ি, ওয়ারড্রোব সহ বিভিন্ন ধরনের সোপিস, পুথির তৈরি বিভিন্ন খেলনা ও শো-পিস , তাতঁ ও ব্লকের বেডসিট, লুঙ্গি, টাওয়াল উল্লেখযোগ্য। 
ময়মনসিং জেলা কারাগার থেকে পাটের তৈরি ব্যাগ, পাপোশ ও টেবিল ম্যাট। সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে খাবার সামগ্রী যেমন বিস্কুট, কেক, মুড়ি, চানাচুর, বিভিন্ন ধরনের আচার জেল কারা পণ্যে শোভা পাচ্ছে। যা আধুনিক মান সম্মত পরিবেশে তৈরি করা হয়। মেলায় কারা অধিদপ্তরের  কর্মকর্তাসহ প্রায় ৩৪ জন জেল কারা পণ্যে দায়িত্ব পালন করছেন।
ডেপুটি জেলার জাবেদ হোসেন বলেন, একটা মানুষ অপরাধ করে জেলে আসে আর জেলে এসে তারা যে সৃষ্টিশীল পণ্য তৈরী করছে যা তাদের সংশোধনে সত্যিই একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক তা বলতেই হয়।
উৎপাদিত পণ্যের লাভের শতকরা ৫০% মজুরি বাবদ কারাবন্দীের মধ্যে বিতরণ করা হয় আর বাকি ৫০% সরকারি কোষাগারে জমা হয়। 
পণ্যগুলো গুণগত মান রক্ষা করে তৈরি করা হয় যা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমান্বয়ে সাড়া ফেলবে বলে কারা কর্তৃপক্ষ মনে করছেন। এবারের বানিজ্য মেলায় কারা পণ্য আশানুরূপ ভাবে বিক্রয় হচ্ছে এবং দিন দিন মেলায় বিক্রি আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তারা মনে করছেন। পাশাপাশি মেলায় আশা দর্শনার্থীদের জেল করা পণ্যের স্টলে আসার জন্য অনুরোধ করছেন।
কারা পণ্যগুলো বাণিজ্য মেলার বাইরে কুমিল্লা ও গাজীপুর জেলা কারাগারে প্রদর্শনির ব্যবস্থা রয়েছে পাশাপাশি পুরানো ঢাকার কারাগারে এই কারা পণ্যের একটা আউটলেট দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ: