শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

৯০ বছর বয়সেও চুল কাটেন তিনি

৯০ বছর বয়সেও চুল কাটেন তিনি

সংগৃহীত

ফ্রান্সের নরসুন্দর রজার আমিলহাস্ত্রের বয়স এখন ৯০ বছর। এখনো খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠেন। দোকানে আসেন। কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি আমার এই কাজকে অনেক ভালোবাসি। এটি আমার অস্থিমজ্জায় মিশে আছে। আমার এত বয়স হলেও চুল কাটার সময় আমার হাত এতটুকু কাঁপে না।’

পিরেনিসের পাদদেশে ছোট শহর সেন্ট-গিরনসে সম্প্রতি নিজের দোকানে বসে এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রজার এসব কথা বলেন।

এখন রজার আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত। তারপরও মঙ্গল থেকে শনিবার দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করে যান তিনি। গ্রাহকদের চুল–দাড়ি কাটেন যত্নের সঙ্গে।

রজার বলেন, ‘ইচ্ছা ছিল ৬০ বছর বয়সে অবসরে যাব। কিন্তু আমার স্ত্রী অসুস্থ ছিলেন। কেয়ার হোমে তাঁর দেখভালের জন্য মাসে ২ হাজার ইউরোর বেশি দিতে হতো।’ গত জানুয়ারিতে রজারের স্ত্রী মারা যান। তাই দুঃখ ভুলে থাকতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

ফ্রান্সের জাতীয় কেশবিন্যাসকারী ইউনিয়ন মনে করে, রজার হলেন দেশের সবচেয়ে বয়সী কর্মরত নরসুন্দর। ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টোফ ডোরে বলেন, ‘আমাদের মধ্য খুব কম মানুষই আছেন, যাঁরা এত বয়সে কাজ করেন। ৯০ বছর বয়সে কাজ করা সত্যিই ব্যতিক্রম।’

ক্রিস্টোফ ডোরে আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত নই, তিনিই ফ্রান্সের সবচেয়ে বয়স্ক নরসুন্দর কি না। আর যদি না–ও হয়ে থাকেন, তাহলে আগেরজনের চেয়ে তিনি খুব বেশি ছোট হবেন না।’

ফ্রান্সের জাতীয় পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউট আইএনএসইইর তথ্যমতে, ৬৫ বছরের বেশি বয়সী প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ফ্রান্সে এখনো কাজ করছেন।

রজারের অনেক গ্রাহক তাঁকে আচিল বলে ডাকেন। তাঁর বাবা এই দোকান ১৯৩২ সালে নিজের নামে প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর ছেলেকে এই কাজ শেখান। দোকানটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির ফ্রান্স দখলের সাক্ষী।

৬৭ বছরের জিস-লুই-সুরে রজারের পুরোনো গ্রাহকদের একজন। তিনি নিয়মিত এখানেই চুল কাটান। এমনকি পত্রিকা পড়তে, না হয় গল্পগুজব করতে হলেও তিনি এখানে আসেন। দোকানে আরও ছিলেন ৮৪ বছর বয়সী জ্যাঁ লাফিত। তিনি বলেন, ‘এখন মাথা প্রায় টাক, তাই সত্যিই আর চুল কাটানোর দরকার নেই। এখন আসি বন্ধুত্বের টানে।’

সূত্র: প্রথম আলো

সর্বশেষ: