মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

একরপ্রতি উৎপাদন ১৪ টন, করলা চাষে শফিকের চমক!

একরপ্রতি উৎপাদন ১৪ টন, করলা চাষে শফিকের চমক!

শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের কৃষক শফিক মিয়া হাইব্রিড ‘টিয়া সুপার’ করলা চাষে সফল হয়েছেন। এই উপজেলার মাটি সবজি চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলন বেশি হয়। করলা চাষে তার সফলতা দেখে অনেকেই এই উচ্চফলনশীল করলা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

জানা যায়, বনগাঁও নিরাপদ সবজির গ্রাম হিসাবে পরিচিত। এই গ্রামের অধিকাংশ পরিবার কৃষির ওপর নির্ভরশীল। সারা বছর এই গ্রামে উৎপাদিত হয় বিষমুক্ত নানা জাতের সবজি। শফিক মিয়ার এই অধিক ফলনশীল ও আকর্ষণীয় হাইব্রিড করলা চাষের সফলতায় অন্যান্য কৃষকদের মাঝেও সাড়া জাগিয়েছেন। অল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় করলা চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন ওই এলাকার অনেক কৃষক। শফিক মিয়ার করলা চাষে সফলতা দেখে ওই গ্রামের বেকার-যুবকসহ অনেকেই এখন করলা চাষে ঝুঁকছেন।

বনগাঁও গ্রামের কৃষক শপিক মিয়া বলেন, আমি আড়াই বিঘা জমিতে পরিক্ষামূলকভাবে হাইব্রিড জাতের করলা চাষ করেছি। চারা লাগানোর ৪৫ দিনের মাথায় করলা সংগ্রহ করা যায়। বর্তমানে আমার জমির মাচায় করলার সবুজের সমারোহ। একেকটি করলা ২৫০-৩০০ গ্রাম ওজনের হয়।

তিনি আরো বলেন, করলা চাষে বাম্পার ফলন পেয়েছি। বাণিজ্যিকভাবে হাইব্রিড করলা চাষ লাভজনক। একর প্রতি হাইব্রিড করলা উৎপাদন হয় ১২-১৪ টন। করলা চাষে আমার ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। জমি থেকে প্রতি কেজি করলা ৪০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি করতে পারছি। এখন পর্যন্ত ৮৫ হাজার টাকা করলা বিক্রি করেছি। আশা করছি ১ লাখ টাকার বেশি করলা বিক্রি করতে পারবো।

স্থানীয় কৃষক রজত দেব বলেন, শফিক মিয়া হাইব্রিড করলা চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। মাত্র দেড় মাসেই করলার ফলন পাওয়া যায়। তার সফলতা দেখে অনেকেই করলা চাষে ঝুঁকছেন।

শ্রীমঙ্গল কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহদত আহমেদ বাবুল জানান, হাইব্রিড জাতের করলা খুব ভালো জাতের বীজ। ফলের ওজন ভালো। এই জাতের বীজ ব্যবহার করলে কৃষক লাভবান হবে বেশি। আমরা করলা চাষে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করছি।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ