সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকায় হাজার কোটি টাকার খনিজ সম্পদের সন্ধান

ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকায় হাজার কোটি টাকার খনিজ সম্পদের সন্ধান

সংগৃহীত

বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদ ব্রহ্মপুত্র। চীন-ভারত হয়ে দেশের কয়েকটি জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে নদটি। গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র নদের বালুতে মূল্যবান ছয়টি খনিজ পদার্থের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব মাইনিং, মিনারেলজি অ্যান্ড মেটালার্জি।

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, প্রতি এক বর্গকিলোমিটার এলাকায় প্রাপ্ত খনিজ সম্পদের টেকনো ইকোনমিক ইভাল্যুয়েশন ছাড়াই দাম অন্তত তিন হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। এ নদের বালুতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ সম্পদ আছে বলে গবেষণার বরাত দিয়ে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।

যেসব মূল্যবান খনিজ পদার্থ পাওয়া গেছে সেগুলো হলো- ইলমিনাইট, রুটাইল, জিরকন, ম্যাগনেটাইট, গারনেট ও কোয়ার্টজ।

রং, প্লাস্টিক, ওয়েলডিং রড, কালি, খাবার, কসমেটিকস ও ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় রুটাইল। অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইতালি, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, সিয়েরা লিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র মূল্যবান এই খনিজটি সারা বিশ্বে রপ্তানি করে।

জিরকন ব্যবহৃত হয় সিরামিক, টাইলস, রিফ্যাক্টরিজ ও মোল্ডিং সেন্ডসে (ছাঁচ নির্মাণে ব্যবহৃত বালু)। বর্তমানে সারা বিশ্বে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, চীন, ব্রাজিল, সিয়েরা লিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র এ খনিজ উপাদানটি রপ্তানি করে থাকে।

ম্যাগনেটাইট চুম্বক ও ইস্পাত উৎপাদন, খনি থেকে উত্তোলিত কয়লা পরিষ্কার করা এবং তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে গভীর কূপ খননে ব্যবহার হয়ে থাকে। বিশ্বের মাত্র দুটি দেশ মূল্যবান এ খনিজটি সারা বিশ্বে রপ্তানি করে থাকে। দেশ দুটি হলো দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া।

গারনেট হলো ভারি ও মূল্যবান খনিজ। এটি ব্যবহার করা হয় সিরিশ কাগজ উৎপাদন, লোহাজাতীয় পাইপ পরিষ্কার ও বালুতে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত সারা বিশ্বে খনিজটি রপ্তানি করে থাকে।

বর্ষার মৌসুমে এই নদে পানির প্রবাহ ব্যাপক থাকে। তবে বর্ষা কমার সঙ্গে সঙ্গে পানির প্রবাহও কমতে থাকে। একসময় যমুনা-ব্রহ্মপুত্রে জেগে ওঠে ধু-ধু বালুচর। শুষ্ক মৌসুমে বিস্তৃর্ণ চর জাগে এই নদের বুকে। এই চরের বালুতেই হাজার হাজার কোটি টাকার খনিজ সম্পদ লুকিয়ে থাকার তথ্য উঠে এসেছে গবেষণায়।

খনিজ সম্পদ নিয়ে গবেষণা করা প্রতিষ্ঠান জয়পুরহাটের ইনস্টিটিউট অব মাইনিং, মিনারেলজি অ্যান্ড মেটালার্জির পরিচালক ড. মোহাম্মদ নাজিম জামান বলেন, 'কুড়িগ্রামে প্রবেশ থেকে ডাউনস্ট্রিমে গাইবান্ধা পর্যন্ত এবং তিস্তা নদীর অববাহিকায় যেসব চর, সেগুলো নিয়ে আমরা জিওফিজিক্যাল সার্ভে করি। কোন জায়গায় কোন ধরনের মিনারেলস আছে, এটার প্রাথমিক স্টাডি ২০১০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত সম্পন্ন করা হয়। এটি কার্যকরী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী এই বিষয় পাইলটিং করার নির্দেশনা দেন। এর পর ২০১৭ সালে একটি এটিপি প্রকল্প নেওয়া হয়। সেই প্রকল্প অনুযায়ী জয়পুরহাটে একটি খনিজ গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। এখানে গবেষণা করে ব্রহ্মপুত্র নদে মূল্যবান খনিজগুলোর সন্ধান মেলে।'

গবেষণার বরাত দিয়ে ড. মোহাম্মদ নাজিম জামান বলেন, ১০ মিটার গভীরতায় প্রতি এক বর্গকিলোমিটার এলাকা থেকে উত্তোলনের পর নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত বালুর বাজারমূল্য ৮০ থেকে ১০০ কোটি টাকা। আর সমপরিমাণ এলাকা থেকে প্রাপ্ত খনিজের বাজার মূল্য তিন হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। কীভাবে কোন প্রক্রিয়া কোন প্রতিষ্ঠান এসব খনিজ আহরণ করবে, তা গবেষণার মাধ্যমে নির্ধারণ করবে সরকার।

সূত্র: bangladeshmoments

সর্বশেষ:

শিরোনাম:

স্টেশনে যাত্রীরাই কাটতে পারবেন ট্রেনের টিকিট
এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার
পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্কুলজীবনের মজার স্মৃতিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা
কাজিপুরে ভার্মি কম্পোস্ট সার বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু
১৪ কিলোমিটার আলপনা বিশ্বরেকর্ডের আশায়
আলো ছড়াচ্ছে কুষ্টিয়ার বয়স্ক বিদ্যালয়
মেয়েদের স্কুলের বেতন না দিয়ে ধোনিদের খেলা দেখলেন তিনি
‘ডিজিটাল ডিটক্স’ কী? কীভাবে করবেন?
তাপপ্রবাহ বাড়বে, পহেলা বৈশাখে তাপমাত্রা উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নেইমারের বাবার দেনা পরিশোধ করলেন আলভেজ
দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর