চলছে মধুমাস। এখই তো রসে মাখামাখি করে আম খাওয়ার দিন। হিমসাগর, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, খিরসাপাতি; নামেই যেন অর্ধেক প্রশান্তি! স্বাদে যেমন, গুণেও তেমন এই ফল। প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, আয়রণ, ক্যালসিয়াম ও খনিজ লবনসহ শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আছে এতে।
তবে গপাগপ আম খাওয়ার পর থাকতে হবে সতর্ক। আম খাওয়ার আগে কিছু খাবার খেলে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। তাই আম খাওয়ার পর কী খাবেন না তা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কোমল পানীয়
আম খাওয়ার দশ-পনেরো মিনিটের মধ্যে কোমল পানীয় না খাওয়াই ভালো। আম আর কোমল পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকায় রক্তে ব্লাড সুগারের পরিমান বাড়ার আশঙ্কা থাবে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য যা খুবই আশঙ্কার খবর।
পানি
আম খাওয়ার অন্তত আধঘণ্টা পর পানি পান করা উচিত। এর আগে পানি পান করলে ভুগতে পারেন অ্যাসিডিটির সমস্যায়। এমনকি পেট ব্যথাও হতে পারে।
ঝাল ও মসলাযুক্ত খাবার
আম খাওয়ার অন্তত বিশ মিনিট পর মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া ভালো। নয়তো শরীরে অ্যালার্জির পরিমাণ বাড়তে পারে। তাছাড়া এ সময়ে ঝাল কিংবা মসলাযুক্ত খাবার খেলে হজমে সসম্যা দেখে দিতে পারে।
দই
আমের সঙ্গে দুধ বেশ ভালো জমলেও খাওয়া যাবে না দই। কারণ এ দুটি খাবার এক সঙ্গে খেলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে শরীরে। এতে অ্যালার্জি, হজমে সমস্যা, এমনকি পাকস্থলীতে বিষক্রিয়াও হতে পারে।
করলা
আম খাওয়ার পর করলা খেলে বমিভাব হতে পারে। অনেকের বমিও হতে পারে। হতে পারে শ্বাসকষ্টও।
আম খাওয়ার সময় এখনই। তবে বেশি খাবেন না। এক কাপ আমে আছে ১০০ ক্যালোরি। আর এর ৯০ ভাগই আসে আমে থাকা চিনি থেকে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দিনে একটি পাকা আমের অর্ধেকটা খাওয়ারই পরামর্শ দেয়া হয়।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ